কলকাতা ব্যুরো: চোরে চোরে মাসতুতো ভাইয়ের প্রবাদ এবার বদলে যেতে পারে। যে ভাবে বাবুর বাড়ি থেকে শাশুড়ির ঝেড়ে আনা এটিএম কার্ড নিয়ে ভেলকি দেখালেন দুই জামাই, তাতে নতুন স্লোগান হতেই পারে, চোরে চোরে ভায়েরা ভাই, শাশুড়ির জবাব নাই। আর লক ডাউনের মধ্যে দু’মাস ধরে অচলাবস্থায় যখন লোকের খাওয়া দাওয়ার পয়সা জুটছে না, তখন দুই ভায়েরার যুগলবন্দিতে রসেবসে দুই পরিবার। দু’মাস ধরে খেপে খেপে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা লোপাট করে দিলেন দুই গুণধর জামাই।

একজন হুগলির গুপ্তিপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে ফিরতে মুখে মাস্ক চেপে আর মাথায় টুপি টাঙিয়ে যখন এটিএমে ঢুকেছেন, আর একজন একই কায়দায় তারপরেই করিমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাটের এটিএম গিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছেন। একেবারে ভোজবাজি মনে হলেও তদন্তে নেমে দু’জনকেই গ্রেপ্তারের পর দাবি কলকাতা পুলিশের।
ধৃত রঞ্জিত মল্লিক (৪৫) ও সৌমিত্র সরকারকে (৩১) জেরা করে এর পিছনে থাকা আসল মাথা রিতা রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনজনকে জেরা ও তল্লাশিতে এখন পর্যন্ত ২৭ লাখ টাকা উদ্ধার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। বাকি আটলাখের মধ্যে কার পেটে কত গেছে তা নিয়েই এখন তদন্ত চালাতে তিনজনকেই হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

প্রিন্স আনোয়ার শা রোডের বাসিন্দা অনুরাগ আগরওয়ালের অভিযোগের তদন্তে নেমে গোয়েন্দা বিভাগ সিসি টিভি ও সোর্স ইনফরমেশন মারফৎ চিহ্নিত করে অভিযুক্তদের। তাতে পুলিশের বক্তব্য, অনুরাগের পরিবারে পরিচারিকার কাজ করার সূত্রে রিতা রায় কোনও ভাবে তাঁর মৃত বাবার এটিএম কার্ডটি হাতিয়ে নেয়। তারপর ২০ মার্চ থেকে ৩০ মের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৩৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তুলে নেয়। সেই টাকার ভাগ দেওয়া হয় শাশুড়ি মাতাকেও। সেই অভিযোগের সূত্রেই তদন্তে পুলিশ শাশুড়ির সঙ্গতে দুই ভায়েরার কীর্তি ফাঁস করে দেয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version