কলকাতা ব্যুরো: শনিবার দুর্গাপুরে দেখা মিললো ১৯৮৩ সালের ভারতের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক সৈয়দ কিরমানির। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা উইকেটকিপারও তিনি। এদিন দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে একটি স্পিচ থেরাপি মেডিক্যাল সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রাক্তন এই চেন্নাইয়ান ক্রিকেটার। দুর্ভাগ্যবশত অনেক শিশুই কানে শুনতে না পাওয়ার মতো বেশকিছু নিয়ে জন্ম নেয়। যদিও শিশুদের ৩ বছর বয়সের মধ্যে যদি সঠিক চিকিৎসা করা যায় তাহলে সে পুনরায় শোনার ক্ষমতা ফিরে পায়। এই সব শিশুদের জন্যই শনিবার দুর্গাপুরে একটি স্পিচ থেরাপি মেডিক্যাল সেন্টারের উদ্বোধন করা হলো। এই স্পিচ থেরাপি সেন্টারে চিকিৎসা করালে শিশুরা পুনরায় তাদের কথা বলা ও শোনার ক্ষমতা ফিরে পাবে বলে দাবি করলেন স্পিচ সেন্টার কর্তৃপক্ষ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক অনুরাগ কুমার, চিকিৎসক আনন্দ কুমার ও চিকিৎসক সুমিতা কুমারীও l

অন্যদিকে এদিন স্পিচ থেরাপি সেন্টারের উদ্বোধন করতে এসে দুর্গাপুরবাসীদের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানান এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। প্রশংসাও করেন দুর্গাপুর শহরের। পাশাপাশি জন্ম থেকে যে সমস্ত শিশু মূক ও বধির তারাও যে চিকিৎসার দ্বারা সুস্থ হতে পারে সমাজে এর সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে বলে এদিন জানান আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ক্রিকেটার সৈয়দ কিরমানি।

তবে এদিনের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে কার্যত কটাক্ষ করলেন ভারতের অন্যতম সেরা প্রাক্তন উইকেট কিপার সৈয়দ কিরমানি। তিনি বলেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট কখনোই ক্রিকেটের সোনালী সময় নয়। এটা পয়সা বানানোর সময়। এছাড়াও অতীতের সঙ্গে বর্তমান ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের মূল্যায়ন করেছেন কিরমানি। তিনি বলেছেন, আমাদের সময় একজন করে টিম ম্যানেজার থাকতেন। তিনি হোটেল আর ফ্লাইট বুকিং দেখতেন। আমাদের সময় ভারতের ক্রিকেট বোর্ড গরীব ছিল। আর এখন তো ভারতের ক্রিকেট বোর্ড, দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড।

সম্প্রতি আরেক উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান সাহা প্রসঙ্গে কিরমানিকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, ঋদ্ধিমান একজন ভালো উইকেট কিপার। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে ঋষভ পান্থ, কে এল রাহুল, সঞ্জু স্যামসান এর মত আরও অনেকজন ভাল উইকেট রক্ষক রয়েছেন। এই মুহূর্তে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। সমস্ত ভালো উইকেট কিপারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে ঋদ্ধিমান সাহাকে। সাহাকে নিরাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, আমি চূড়ান্ত ফর্মে থাকা সত্বেও তিনবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলাম। কিন্তু পারফরমেন্সের জন্য আবার ফিরে এসেছি। ঋদ্ধিমানও একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার। তাই নিরাশ না হয়ে প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য ঋদ্ধিমান সাহাকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version