মৈনাক শর্মা

বছরের শুরুতেই করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয় । সংক্রমণ কে মাথায় রেখে টিকা করনে জমায়েত এড়াতে তৈরি করা হয় Cowin নামক অনলাইন ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল ও অ্যাপ। কিন্তু অনলাইন রেজিট্রেশন করার পরেও ভ্যাকসিন লাইনে থেকেও টীকা পায়নি অনেকে। টিকার অভাবকে কাজে লাগিয়ে কালোবাজারি র অভিযোগ উঠেছে বার বার। তা এইবার রুখতে cowin অ্যাপে কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছেন কেন্দ্র সাস্থ্য মন্ত্রক।

কি ভাবে করতে হতো রেজিস্ট্রেশন?

গুগল প্লে স্টোরে বিনামূল্যে ডাউনলড বা https://selfregistration.cowin.gov.in/ সাইটে গিয়ে মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে করতে হত রেজিস্ট্রেশন। নম্বরটি সঠিক তার জন্যে আসতো one time’password। তার পড়েই নিজের নাম ও প্যানকার্ড বা আঁধার বা অন্য যেকোনো পরিচয় পত্র দিয়ে নাম নতিভুক্ত করতে হত। তার পরই আসবে ভ্যাকসিন অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউল।

কিন্তু এতো সব করেও টীকা পায়নি অনেকে। যার জন্য পুরনো পদ্ধতিকে রেখেই তার সাথে জোড়া হলো নতুন নিয়ম।

কী এই নতুন নিয়ম?

অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউল নেওয়ার পরই মোবাইলে আসবে আর একটি চার সংখ্যার ওটিপি। ঠিক অনলাইন কেনাকাটা সময়ে টাকা লেনদেনের আগে যেমন প্রয়োজন হয় ব্যাংকে দেওয়া one time’password এর ।এইবার টীকা নেওয়ার সময়ও অবলম্বন হবে একই পদ্ধতি। টিকা কেন্দ্রের অধিকারী কে দেখাতে হবে সেই one time’pin।

প্রথম দিকে সিনিওর সিটিজেদের টিকার ডোজ দেওয়ার ঘোষণা করেন কেন্দ্রে সরকার। কিন্তু প্রথম ডোজ পড়ার পরই টিকার যোগান না রেখে সর্বত্র বয়সের জন্য খোলা হয় ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া। ফলে একদিকে টিকার অভাব ও অন্য দিকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজেরে জন্যে করোনা নিয়ম না মেনে বিশাল লাইন দেখা যায় রাজ্যের বিভিন্ন সাস্থ্য কেন্দ্রে । কেন্দ্রীয় সাস্থ্য মন্ত্রকের মতে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চলছে টিকায় কালোবাজারী। টিকার সময় নেওয়ার পড়েও একজনের নতিভূক্ত নামের টীকা পাচ্ছে অন্য ব্যাক্তি। নতুন নিয়মের ফলে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর্থীর বৈধতা আরও সচ্ছ হবে। তাই এই অভিনব কৌশল অবলম্বন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version