কলকাতা ব্যুরো: একদিকে মেটিয়াবুরুজ, অন্যদিকে কসবার তপসিয়া, তারই সঙ্গে ডোমজুড়ের বেশ কিছু এলাকায়, চতুর্থ দফার ভোটে গোলমালের আশঙ্কায় শেষ মুহূর্তে সেসব জায়গায় বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে আবার কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার পেটোয়া কিছু দুষ্কৃতীকে বোতলবন্দী করতে শুক্রবার রাতেই অপারেশন শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দফায় দফায় দিল্লি এবং কলকাতায় কমিশনের কর্তাদের বৈঠকের পর যে ৪৪ টি বিধানসভায় নির্বাচন রাত পোহালেই হবে, তার কিছু এলাকাকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। ওই সমস্ত এলাকায় যাতে কোনভাবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে লোকের ভিড় না হয়, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকদের।

একইসঙ্গে পুলিশ অবজারভরের তরফে নিচু তলার পুলিশ অফিসারদের সতর্ক করা হয়েছে, প্রয়োজনমতো কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানোর জন্যে। কলকাতার টালিগঞ্জ এলাকায় শাসক দলের এক রাজনৈতিক নেতার ঘনিষ্ঠকে ভোট চলাকালীন নজরের মধ্যে রাখতে মার্কিং এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মেটিয়াবুরুজ এবং বজবজের গ্রামীণ এলাকায় কোনভাবে জোর জুলুম করে ভোট লুটের চেষ্টা হতে পারে বলে রিপোর্ট গিয়েছে কমিশনের কাছে। ফলে ওই এলাকায় যারা ভোট লুটের কারিগর হতে পারে, তেমন নাম পাওয়ায় তাদের ব্যাপারে রাতেই পুলিশকে মাঠে নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার হাওড়ার ডোমজুড় এ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে যথেষ্টই মাথাব্যথা রাজ্যের শাসকদলের। ওই আসন তৃণমূলের কাছে পেস্টিজ ফাইট। একইভাবে রাজীবও ওই আসন জিততে মরিয়া। তাই ওই এলাকায় গোলমালের আশঙ্কা করছে কমিশন।


উত্তরবঙ্গে কোচবিহারে যে দশটি বিধানসভায় নির্বাচন হবে, সেখানেও গোলমালের আশঙ্কায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন রাতেও সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের আরো সতর্ক হতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্দিষ্টভাবে এলাকা ধরে ধরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনমতেই অতি স্পর্শকাতর এলাকায় যেন ভিড় না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে যেনতেন প্রকারে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version