কলকাতা ব্যুরো: দেখা দূরের কথা, পুলিশে শুনেছেন কখনও ঊর্ধ্বতন কোন অফিসার তাঁর অধস্তন কাউকে স্যালুট করছেন। পুলিশে এসব রীতিবিরুদ্ধ। প্রোটোকলেও পড়ে না। কিন্তু তেমন কাণ্ডই ঘটেছে। ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার কল্যাণ মুখোপাধ্যায়মানবিক-স্যালুট” ঠুকেছেন আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও কুতুবউদ্দিনকে। নিজে যাবেন অধস্তন অফিসারের হাতে উপহার তুলে দিতে। কেন এমন উলটপূরণ। জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের বয়ানেই পড়ুন। উনি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে……

কুতুবউদ্দিন হলেন এস ডি পি ও আলিপুরদুয়ার ।

দুদিন আগে এক মহিলা করোনা রুগীর মৃত্যু হয় আলিপুরদুয়ারে । তাঁর গ্রামের কাছে কবরস্থান যায় জলে ডুবে ।
তখন তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় অন্য আরেকটি কবরখানায় । রাজী হয় স্থানীয় মসজিদ কমিটি । কিন্তু বাদ সাধেন গ্রামবাসী ।

আসরে নামেন কুতুবউদ্দিন ও এস ডি ও আলিপুরদুয়ার । অনেক বলা কওয়ার পর গ্রামবাসীরা চলে যান । কিন্তু তখন আর কবর দেওয়ার জন্য কেউ থাকে না ।কুতুবউদ্দিন তখন নেন সেই সাহসী সিদ্ধান্ত । সরকারী কয়েকজনের সাথে নিজেই হাত লাগান কবর খোঁড়ায়।

তারপর ?

হ্যাঁ । তারপর হাত লাগান কফিন নিয়ে যাওয়ায় । সম্পূর্ণ করেন কবর দেওয়ার কাজ। না , সেই সময় কুতুবউদ্দিনের পিপিই ছিলো না ।

মাস্ক আর গ্লাভস ভরসা ।
আর ভরসা কর্তব্যবোধ।

আতঙ্ক নয় , সতর্কতা প্রয়োজন । কুতুবউদ্দিন প্রমাণ করলেন । আজ যাব কুতুবউদ্দিনকে নিজের হাতে আমার আঁকা একটি ছবি দিতে।
আর স্যালুট জানাতে।

স্যালুট কুতুবউদ্দিন ।
স্যালুট আমার প্রত্যেক সহকর্মীকে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version