কলকাতা ব্যুরো: দেশে সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণেই বলা যায়। পরপর ৬ দিন দৈনিক সংক্রমণ ৬০ হাজারের নিচে। দুদিন ধরে ৫৫ হাজারেরও কম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩,৩৭০ জন। কিন্তু চিন্তামুক্ত হতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, করোনা এখনও শেষ হয়নি। খুব শিগগির বিদায় নেবে, এমন কথাও তিনি বলেননি। মহাষ্টমীর দিন শনিবার সকালেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, দৈনিক সংক্রমণ ৯৫ হাজারের ওপর থেকে ৫৫ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক হবে, তা নির্ভর করছে আগামী তিন মাসের ওপর।

এইসময়টা উৎসবের মরশুম। এরমধ্যে দুর্গাপুজো আছে, লক্ষ্মী, কালীপুজো আছে, মহরম আছে, বড়দিন আছে। চিন্তার কারণ, আমেরিকার একটি পরিসংখ্যান। অগস্টে স্কুল খুলে দেওয়ার পর এপর্যন্ত ৯৭ হাজার পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে। নভেম্বর থেকে আমাদের দেশেও স্কুল পুরোদমে খুলে দেওয়ার নির্দেশ আছে সরকারি তরফে। এরমধ্যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিনাথ দাস সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েবের আভাস দিয়েছেন শুক্রবার।

তিনি জানিয়েছেন, মহামারিতে যে ক্ষতি হয়েছে দেশের অর্থনীতিতে, তার পুনরুদ্ধার হতে কয়েকবছর লেগে যেতে পারে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এই সময়কাল অন্তত একবছর তো বটেই। তবে, আশার কথা, সুস্থতা বাড়ছে, মৃত্যুহারে স্থিতাবস্থা এসেছে। অ্যাক্টিভ পজিটিভের সংখ্যা এখন ৭ লক্ষের নিচে। এই প্রবণতা দুদিন ধরে বহাল আছে। শনিবারের পরিসংখ্যানে সুস্থতার হার ৮৯.৭৮।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৭,৫৪৯ জন। দেশে করোনামুক্তের মোট সংখ্যা এখন ৭০,১৬,০৪৬, আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৭৮,১৪,৬৮২, মৃতের মোট সংখ্যা ১,১৭,৯৫৬। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে ৬৫০ জনের। শনিবারের পরিসংখ্যানে মৃত্যুহার ১.৫১। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই হারকে ১-এর নিচে নামাতে মরিয়া। কিন্তু ৬টি রাজ্যে পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ আছে। লকডাউনের ২১৫ তম দিনেও করোনা গ্রাফ এখনও ঊর্ধ্বমুখী এরাজ্যে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version