কলকাতা ব্যুরো: গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রণ। তার উপরে আবার মিলেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট IHU। আর এতসবের মাঝেই বিজ্ঞানীরা আশার কথা শুনিয়েছেন। তাঁরা দাবি করেছেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে অর্থাৎ করোনা মহামারী বিদায় নিতে চলেছে বিশ্ব থেকে। তাঁদের ডেটা রিপোর্ট নাকি সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। হু-র পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে ২০২২ সালেই নাকি করোনা মহামারীর অবসান ঘটবে।

একাধিক দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গবেষকরা দাবি করেছেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে গোটা বিশ্বে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমলেও করোনা সংক্রমণ কিন্তু মারাত্মক আকার নেবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের সিলভার লাইন দেখা দিতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আর এর অর্থ হল আরও বেশি সংক্রমণ। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মনিকা গান্ধী দাবি করেছেন, করোনা মহামারির একটা ভিন্ন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি আমরা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধীরে ধীরে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে এমনই দাবি করেছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

তাঁদের দাবি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এবার ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবে অর্থাৎ মহামারী মুক্ত হবে পৃিথবী। অন্তত ডেটা সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। গবেষকরা জানিয়েছেন করোনা ভাইরাস সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল। কিন্তু কখনও মহামারীর আকার নেয়নি। যেভাবে মহামারীর আকার নিয়েছে সেভাবেই ধীরে ধীরে তারা স্তিমিত হয়ে পড়ছে কারণ মানুষের ইমিউনিটি এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোখার পর্যায়ে চলে গিয়েছে অর্থাৎ ইমিউটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেকারণেই ফের আগের পর্যায়ে মহামারী মুক্ত হতে চলেছে বিশ্ব। হু-র পক্ষ থেকেও এই একই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল।

করোনা মহামারীর পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর ছিল ডেল্টা। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ বেশি ছড়ালেও সেটা মারাত্মক আকার নিচ্ছে না। সামান্য ৫ দিনের সর্দি জ্বরেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেকারণেই চিকিৎসকরা ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের ৫ দিনের বেশি আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন না। সেই সঙ্গে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে যাঁরা সংক্রমিত হচ্ছেন তাঁদের অধিকাংশেরই চিকিৎসা হচ্ছে বাড়িতে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না তাঁদের। বাড়িতে চিকিৎসা করেই সেরে যাচ্ছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যাও অনেকটা কম।

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের মধ্যেই আবার ফ্রান্সে দেখা দিয়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্টের। IHU করোনা ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টে আবার ৪৬ রকমের মিউটেন্ট আছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। আফ্রিকার ক্যামেরুন থেকে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ এসেছে। ফ্রান্সে ইতিমধ্যেই এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ জন। সকলকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ব্রিটেনেও এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version