কলকাতা ব্যুরো: রাজ্যসভার ১২ সাংসদদের সাসপেনশন মিলিয়ে দিল বিরোধীদের। বুধবার সংসদ চত্বরে গান্ধীমূর্তির সামনে ধরনায় হাজির কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী-সহ বহু কংগ্রেস সাংসদ। ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রীরাও। তৃণমূল নেতৃত্ব এবং রাহুল গান্ধীর একই ধরনা মঞ্চে উপস্থিতি রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

বাদল অধিবেশনে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শীতকালীন অধিবেশন থেকে রাজ্যসভার ১২ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর পরই এই সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয় বিরোধীরা। তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, অধিবেশনের শেষদিন অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত গান্ধীমূর্তির সামনে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা ধরনা চালিয়ে যাবেন তৃণমূলের দুই সাংসদ দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে প্রতিদিনই ধরনা মঞ্চে আসবেন রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদেরাও। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই গান্ধীমূর্তির সামনে চলছে ধরনা। রয়েছেন কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের সাসপেন্ড সাংসদেরা। এদিনের ধরনামঞ্চে হাজির ছিলেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অধীররঞ্জন চৌধুরীও।

সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল-কংগ্রেসের দূরত্ব বেড়েছে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। দলীয় মুখপত্র হোক কিংবা সাংবাদিক সম্মেলন তৃণমূল নেতৃত্ব একাধিকবার রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন। এমনকী, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি-কংগ্রেস জোটের পর রাহুল-বিজয় সরদেশাই জুটিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

পাল্টা ঘাসফুল শিবিরের সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও। অধিবেশনের আগে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকেও ছিলেন না তৃণমূলের প্রতিনিধিরা বরং সংসদের রণকৌশল ঠিক করতে আলাদা বৈঠক করেছিল ঘাসফুল শিবির। এর পরও একই ধরনা মঞ্চে তৃণমূল নেতৃত্বের পাশে তাঁদের উপস্থিতি দিল্লির রাজনীতিতে নয়া মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পরে ফেসবুকে রাহুল লেখেন, আমরা গান্ধীবাদিরা একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। আমরা নত হব না!

শুধু সংসদের বাইরে নয়, সংসদের অন্দরে পৌঁছে গিয়েছে সাংসদদের বহিষ্কারের উত্তাপও। সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজ্যসভায় তুলকালাম। অধিবেশন শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে রাজ্যসভা অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version