কলকাতা ব্যুরো: শিলিগুড়ির সভা থেকে ফের রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করলেন, দেউচা-পাচামি প্রকল্পের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতেই রামপুরহাটকে অশান্ত করে তোলা হয়েছে। সিবিআইকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তদন্তের সহযোগিতারও আশ্বাস দিলেন।  

রবিবার দুপুরেই উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা ৩ টে নাগাদ শিলিগুড়িতে সভা করেন তিনি। সেখান থেকেই রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, দেউচা-পাচামির কাজ চলছে, সেখানে অশান্তি করতেই রামপুরহাটে এরকম ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এরপরই সিবিআই তদন্ত নিয়ে একহাত নেন মমতা। তাঁর কথায়, কবিগুরুর নোবেল চুরি-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্তভার পেয়েছে সিবিআই। কিন্তু একটি ক্ষেত্রেও এখনও কোনও কিনারা হয়নি। এরপরই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে মমতা বলেন, সিট ভাল কাজ করছিল। এখন সিবিআই তদন্ত করছে করুক, আমরা সাহায্য করব। কিন্তু কোনওভাবে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অন্য কাজ করলে ফের পথে নামব আমরা।

এদিন রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তৃণমূল নেতা খুন হয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি পুড়েছে। তারপরও ক্রমাগত আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি ঘটনার পরই গিয়েছি। সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি জানি টাকা দিয়ে মানুষের ক্ষতিপূরণ হয় না। তা সত্ত্বেও বাঁচতে অর্থের প্রয়োজন। তাই সাহায্য করেছি। তদন্তও চলছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আনারুল-সহ একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতেরা তৃণমূলের সমর্থক বলেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে রামপুরহাটে বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এর পর সেই রাতে বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যেখানে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version