কলকাতা ব্যুরো: মরু শহরে কিং খানের দলের সামনে ছিল জয়ের হ্যাট্রিকের হাতছানি। আর সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছিল নাইটরা কিন্তু ৪৯তম ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার ছন্নছাড়া বোলিংয়ে নাইট সমর্থকদের স্বপ্ন ছারখার করে দেয়। এই ওভারে কৃষ্ণার থেকে ২২ রান ছিনিয়ে নিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে জয় এনে দেন রবীন্দ্র জাদেজা৷ যদিও শেষ ওভারে সুনীল নারাইন দু‘টি উইকেট নিয়ে নাইটদের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন। তবে শেষরক্ষা হলো না। দিল্লি ক্যাপিটালসকে পিছনে ফেলে ফের এক নম্বরে চলে গেলো ধোনি অ্যান্ড কোং।

রবিবার শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল সুপার কিংস। ৮.২ ওভারে দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড ও ফ্যাফ ডু’প্লেসিস ৭৪ রান যোগ করে সিএসকের জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছেন কিন্তু বরুণ চক্রবর্তীর দুরন্ত বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরে কেকেআর কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি নাইটদের। এক ওভারে ২২ রান নিয়ে সুপার কিংসকে বৈতরণি পার করিয়ে দেন জাড্ডু। শেষ ওভারে নারাইন জাদেজা ও স্যাম কারানকে ফিরিয়ে নাইট সমর্থকদের মনে আশা জাগালেও শেষ হাসি হাসে ‘উইসেল পডু’।

মরু শহরে প্রথম ম্যাচ থেকেই স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন সিএসকে ওপনার রুতুরাজ। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ মাত্র ২৮ বলে তিনটি ছক্কা ও ২টি বাউন্ডারি মেরে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন রুতরাজ। প্রথম ম্যাচে ৮৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর আগের ম্যাচেও ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন রুতুরাজ। সিএসকের অপর ওপেনার ডু’প্লেসিসও ছন্দ ধরে রাখেন। আগের ম্যাচে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ৩১ রান করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সুপার কিংসের এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। তিন নম্বরে নেমে ২৮ বলে ৩২ রানের গুরত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন মইন আলি।

তবে অম্বাতি রায়ডুকে শুরুতেই ডাগ-আউটে ফেরত পাঠিয়ে নাইটদের ম্যাচে ফেরান নারাইন। তারপর সুরেশ রায়না রান-আউট হওয়ায় কেকেআর লড়াইয়ের জায়গা ফিরে পায়। তখনও ক্রিজে ছিলেন ধোনি কিন্তু ওই ওভারে ধোনির স্টাম্প নাড়িয়ে দিয়ে নাইটদের জয়ের রাস্তা চওড়া করেন বরুণ চক্রবর্তী কিন্তু পরের ওভারে কৃষ্ণার ক্লাবস্তরের বোলিং কেকেআর-এর জয়ের হ্যাটট্রিকের স্বপ্নে জল ঢেলে দেয়। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ধোনির উইকেট তুলে নেন বরুণ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version