কলকাতা ব্যুরো: গরু পাচার মামলায় সোমবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। এই নিয়ে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তিনবার জমা পড়ল চার্জশিট। এবারের চার্জশিটে নাম রয়েছে বিকাশ মিশ্র, সায়গল হোসেন ও আবদুল লতিফের। তবে সায়গল হোসেনের আইনজীবী অনির্বান গুহ ঠাকুরতার দাবি, সায়গলের কাছে ১০০ কোটি থাকার কোনও প্রশ্নই নেই। মাত্র ৪ কোটি ১ লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে সায়গলের। এদিন সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের পর অন্য আইনি ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা করছে সায়গলের আইনজীবী। সোমবার চার্জশিট পেশের পর আবারও জামিন নাকচ হয়ে যায় সায়গলের। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ আগস্ট।
কয়লাপাচার কাণ্ডে ২০২১ সালের মার্চে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিকাশ মিশ্র। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন তিনি। সোমবারই অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ সায়গল হোসেনের জেল হেফাজতে থাকার ৬০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। আবদুল লতিফ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারের। ৩২ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। এরপর দ্বিতীয় চার্জশিটে নাম ছিল গরু পাচারকারীর মূল কিংপিন এনামুল হকের। ১৩ মাস জেল হেফাজতের পর সেও এখন জামিনে মুক্ত। এবার নাম এল এই তিনজনের। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। ২০২২ সালের ১০ জুন সায়গল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিবিআইয়ের দাবি, প্রায় ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলেছে তাঁর কাছ থেকে। মোট ৪৯ টি সম্পত্তির ডিড জমা করা হয়েছে আদালতে।

সিবিআইয়ের দাবি, সমস্ত ডিড অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকজনের নামে রয়েছে। ৮ আগস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব করলেও তিনি যাননি। ফলে সিবিআই এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারছেন না এই জমিগুলি সম্পর্কে। ফলে সিবিআইয়ের নজরেই রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তিনিও যুক্ত রয়েছেন বলে সিবিআইয়ের দাবি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় বিএসএফ কমেন্ডেন্ট সতীশ কুমারকে। ওই বছরেরই ২ ডিসেম্বর আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন সতীশ। ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এনামুল হক। ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন তিনি। ২০২১ সালের মার্চে ইডি প্রথম দিল্লি থেকে বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করে। ২০২২ সালের ১০ জুন সায়গল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version