কলকাতা ব্যুরো: কয়লা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত লালা র বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারির পর এই চক্রে জড়িত অভিযোগে আরো কয়েকজনকে নোটিশ দিচ্ছে সিবিআই। সিবিআই য়ের তলব পেয়ে মঙ্গলবার এক ব্যবসায়ী হাজির হন দপ্তরে। তাকে ঘন্টা চারেক জেরা করার পর আপাতত তাকে ছেড়ে দেয় সিবিআই। এদিকে ইসিএলের এলাকায় কয়লা কারবারে তদন্তে সেখানে ক্যাম্প বসানোর পর সেখানে এখন চরকি পাক খাচ্ছে তদন্তকারীরা। আসানসোল রানীগঞ্জ, অন্ডাল, জামুরিয়া সহ আশপাশের এলাকায় ইসিএলের জমিতে যেভাবে বেআইনি খা দান খুঁড়ে কয়লা তোলা হচ্ছে, তা দেখে তাজ্জব সিবিআইয়ের অফিসাররা। তাদের কাছে একটি বিষয় স্পষ্ট, এই চক্রে শুধুমাত্র কয়েকজন প্রভাবশালী বা ইসিএলের অফিসারই জড়িত এটাই শেষ নয়, এই চক্র বৃহত্তর একটা অংশের মানুষকে যুক্ত করেছে, বেআইনি কারবারিরা, বড় একটা অংশের মানুষের রুটিরুজি বেআইনি কারবারে জুড়ে গিয়েছে।
এটা গোটা এলাকার অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে একেবারে নিচু তলার লোকেরা সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারি পরোয়া না করে রুজির জন্যই বেআইনি কারবারে যোগ দিচ্ছে। তাই সিবিআই চাইছে যেভাবে জঙ্গলমহলে উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান হাতিয়ার করে একসময় মাও দখলে যাওয়া এলাকা ফের রাষ্ট্র শাসন ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, তেমনই এখানেও তার চেষ্টা হোক।
মাওবাদীরা ওই এলাকার মানুষের মগজ ধোলাই করলেও শেষ পর্যন্ত প্রশাসন সেখানে মানুষকে সঠিক পথে ফিরিয়ে এনেছিল। মানুষের কর্মসংস্থান যদি সঠিকভাবে করা যেত সে ক্ষেত্রে গোটা সমাজের এইভাবে একটা বেআইনি কারবারে যুক্ত হয়ে দিনের পর দিন সংসার টানতে হতো না।
সিবিআইয়ের অফিসারদের বৈঠকের বিষয়টি আলোচনায় উঠে ছিল। যদিও শীর্ষ আমলারা বিষয়টিকে যুক্তি দিয়েই নস্যাৎ করেছেন। তাদের মতে, জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা যেহেতু এলাকার দখল নিয়েছিল তাই মূল স্রোতের রাজনীতিকরা তাদের বিরোধিতা করেছিল। এবং তাঁরাই এলাকায় উন্নয়নের চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়লা খনি এলাকায় মূলত রাজনৈতিক এবং প্রভাবশালীরা নিচতলাকে দিয়ে কাজ করিয়ে মুনাফা নিজের ঘরে তোলে। ফলে এখানে প্রশাসন চেষ্টা করলেই খুব একটা সুরাহা কিছু হবে না।
তাই একটি মামলার তদন্তে যতটা সম্ভব বেআইনি কারবারের শিকড় চেরার মরিয়া চেষ্টা করছেন সিবিআই অফিসাররা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version