কলকাতা ব্যুরো: ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের কথা আমরা সবাই জানি।
ক্যান্ডেল লাইটে প্রেমের প্রস্তাবের কথা কখনও শুনেছেন!
শোনেননি তো?
তাহলে শোনাও হল না আর।
মোমবাতির মায়াবি আলোটাই যে আর থাকল না।
মোহময় আলোর পরিবেশটাই যে বদলে গেল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে।
একেবারে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার রঙিন মুহুর্তে।
হ্যাঁ, একেবারে রঙিন মুহুর্ত।
ঘরের দেওয়ালে তখন ঝুলছে রংবেরঙের বেলুন।
পুরো ঘরে জ্বলছে সার দেওয়া মোমবাতি।
কাচের টেবিলে সুদৃশ্য গ্লাস।
তাতে রঙিন হুইস্কি।
পাশে রাখা আংটি।
পরানো না গেলেও প্রেমের প্রোপোজালের শুভমুহুর্তে বাগদানের আংটিটা দেখানো তো যাবে।
পরিকল্পনা পাকা।
মোমবাতির আলোয় ভিডিয়ো কলে পছন্দের তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার অভিনব পরিকল্পনাটি ছিল এক ব্রিটিশ যুবকের।
বাড়ি ব্রিটেনের সাউথ ইয়র্কশায়ারে।
বয়স ২৩-এর কোটায়।
তরুণীরও যে সায় ছিল।
তাই ওই মুহুর্তে কথা বলতে সম্মতি দিয়ে রেখেছিলেন।
মাহেন্দ্রক্ষণে মোমবাতির আলোয় ভিডিও কলে দেখা হল দুজনার।
হাসিমুখে দুজনের হাই, হ্যালোও হল।
যুবক তখন উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছেন।
খেয়ালই করেননি গ্লাস উপচে হুইস্কির সঙ্গে মোমবাতির স্পর্শে আগুন ধরে গিয়েছে।
একলহমায় আগুন সারা ঘরে।
ঘরময় যে মোমবাতির আগুন।
বেলুনের মতো দাহ্যবস্তু।
পুড়ে খাক হয়ে গেল আসবাবপত্র।
ঘরটাও পুড়ে গেল।
তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসায় প্রাণে বাঁচলেন ব্রিটিশ যুবক।
প্রেমের প্রস্তাবটা আর দেওয়া হয়নি।
বদলে ফোন করলেন দমকলকে।
দমকলের তিনটি ইঞ্জিন দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভালো বটে।
প্রেমের আগুন কিন্তু জ্বলছে দাউদাউ করে।
তবে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন তরুণীটি।
এটুকুই সান্ত্বনা ইয়র্কশায়ারের যুবকটির।
ভিডিয়ো কল অন থাকায় ওই তরুণী দেখে ফেলেছিলেন অগ্নিকাণ্ডের পুরোটাই।
তিনি বলেছেন, কেউ দ্বগ্ধ হননি। এটাই রক্ষা।
কেউ বলতে কার কথা বললেন, সেটা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
ক্যান্ডেল লাইটে প্রেমের প্রোপোজাল দিতে না পারলেও তরুণীর ওই সহমর্মী মন্তব্যে নতুন করে আশার আলো দেখছেন যুবকটি।
চলুন, আমরাও প্রার্থনা করি, ওঁর স্বপ্নপূরণ হোক।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version