কলকাতা ব্যুরো: হোস্টেল খোলা নিয়ে মামলায় জয় পেলো বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। অবিলম্বে পড়ুয়াদের জন্য হোস্টেল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুরো বিষয়টিতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সাহায্য করতে হবে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। এমনটাই জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রী এবং তৃণমূল ছাত্রপরিষদের পক্ষের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। ইতিমধ্যেই হোস্টেল খুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

করোনা পরিস্থিতির পর বিশ্বভারতী খুললেও ছাত্রাবাসগুলি খোলেনি। যার জেরে দূর-দূরান্ত থেকে এসে বহু পড়ুয়া ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করে এই বিশ্বভারতীতে ৷ তাই ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে কয়েক দিন ধরেই দফায় দফায় আন্দোলন চলছিল ৷ ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে একই দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবন, কলাভবন, পাঠভবন, শিক্ষাভবন-সহ একাধিক বিভাগের পঠন-পাঠন বন্ধ করে দেয়। বিভাগের গেটে তালা গিয়ে চলে বিক্ষোভ। পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মসচিবের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় পড়ুয়াদের।

ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলায় মঙ্গলবার বিশ্বভারতীকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এতদিন ধরে অশান্তি চলছে বিশ্বভারতীতে, কেন কোনও পদক্ষেপ করছে না কর্তৃপক্ষ? পাশাপাশি অবিলম্বে যেখানে তালা আছে সেগুলি ভাঙার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এছাড়া বিশ্বভারতীতে কোনও অশান্তি হলে এবার পুলিশকে সরাসরি সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। তবে সেই ঘটনার ভিডিও করতে হবে। এই নির্দেশের মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্ট শক্ত করল পুলিশের হাত।

উল্লেখ্য, নির্দেশ মেনে এদিন শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির হন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি। হাইকোর্টের নির্দেশে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পড়ুয়ারা। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version