কলকাতা ব্যুরো: তার এতদিনের অভ্যেস মতই এবারেও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চমক রাখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে তার নিজের কলকাতা ছেড়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়ানো যদি হয় একটা চমক, তাহলে হাফ ডজন মন্ত্রীকে টিকিট না দেওয়া এবং প্রায় দু ডজন বিধায়ককে বসিয়ে দেওয়া অবশ্যই তার আরেক চমক। এর সঙ্গে রাজ্যের যেসব জায়গায় দলের মধ্যে নানান রকম গোষ্ঠী রয়েছে, সেখানে সরাসরি দলীয় লোককে টিকিট না দিয়ে টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়ার পরিচিত মুখেদের নামিয়ে দিয়েছেন সেই কেন্দ্রে। ফলে বাঁকুড়া, উত্তরপাড়া সোনারপুর কিংবা আসানসোল দলীয় দ্বন্দ্বে এমনিতেই চাপের মুখে থাকা আসন যদি টিভি সিরিয়ালের পরিচিত মুখের দৌলতে ফিরে আসে, তাহলে তা হবে নেত্রীর মাস্টার স্ট্রোক এর ফসল। যে ভাবে এর আগে লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া বা মেদিনীপুর আসন জিতিয়ে এনেছিলেন, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন তাস খেলে।


বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস জোট করতে গিয়ে আব্বাস উদ্দিনের দলকে সঙ্গে নেওয়ায় যেভাবে বামেদের বিরুদ্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, এখন সেভাবেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের দলীয় নেতাদের বসিয়ে দিয়ে এইভাবে টিভি সিরিয়ালের লোকের জায়গা দেওয়ায় তা নিয়ে যথেষ্টই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরই সঙ্গে ভাঙ্গড় এবং শিলিগুড়ির মতো জায়গায় একেবারে বাইরে থেকে প্রার্থী বসিয়ে দেওয়া, তা দলের বিরুদ্ধে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।

By selecting the well-known candidates for suppressing factionalism by making the face of TV stand


যদিও তারা এখন বসে রয়েছেন বিজেপি কোথায় কি প্রার্থী দেয় সেই দিকে তাকিয়ে। স্বস্তিতে নেই বিজেপিও। এদিন বামেদের মতই তাদের ৬০ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে না পারায় সেই প্রার্থী ঘোষণা এদিন বন্ধ রাখা হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version