কলকাতা ব্যুরো: নারকেলডাঙায় অন্তঃসত্ত্বা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে লেগেছে রাজনীতির রং। সোমবার নারকেলডাঙা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি মহিলা মোর্চা। পাশাপাশি এদিনই হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্তের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে এই ঘটনাকে “রাজনৈতিক” বলে মানতে নারাজ তৃণমূল। পুরোটাই বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটের বিবাদ বলেই মত শাসক শিবিরের।

রবিবার রাতে কলকাতার নারকেলডাঙায় আক্রান্ত হন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিরণ দেবী। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যাবতীয় শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় তাঁর। সোমবার সকালে ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসক তপন কুমার নস্কর বলেন, পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে আসেন অন্তঃসত্ত্বা। রাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। তবে তাঁর গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন বলেই খবর। তবে নির্যাতিতার আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কোনও চিহ্ন নেই।

এদিকে, এদিন আক্রান্ত গৃহবধূকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গৃহবধূর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে গিয়েছেন বলে স্পষ্ট জানান তিনি। তবে এই ঘটনায় রাজনীতির রংকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল কারণ শাসকদলের দাবি, এটি সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগসূত্র নেই।

এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, এটি একটি বাড়ির বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়ার মধ্যে বিবাদ। বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচারের অভিযোগও তুলেছে তৃণমূল। কুণাল ঘোষ আরও বলেন, কাশীপুরের মিথ্যাচারের পুনরাবৃত্তি ছাড়া কিছুই নয়। এই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। যুক্ত হয়েছে শ্লীলতাহানির ধারাও। প্রত্যেককে সোমবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। তিনদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

কলকাতায় প্রোমোটারির বাড়বাড়ন্ত। নারকেলডাঙার বাড়িতে ঢুকে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার ঘটনায় আঁতকে উঠেছে গোটা রাজ্য। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বিধায়ক পরেশ পাল, কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারের। পাড়ার লোকজনের বিরুদ্ধেই মারধরের অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version