কলকাতা ব্যুরো : করোনার গ্রাসে পরে চরম ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসা। শুধু দেশ নয়, বাংলাদেশের একটা বড় বিদেশি মুদ্রা আসে বিদেশি পর্যটকদের মাধ্যমে। কিন্তু লক ডাউন ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত চার মাস প্রায় জনশূন্য কক্সবাজার, সেন্টিনেল আইল্যান্ড, চট্টগ্রাম সৈকত থেকে ঢাকার রাস্তায় বিদেশিদের আনাগোনা। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রালয় সূত্র মারফৎ জানা গেছে, করোনা মহামারীর কারণে পর্যটন ক্ষেত্রে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে । বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড জানিয়েছে, ট্যুরিজম এর সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের ওপর নির্ভশীল প্রায় দেড় কোটি মানুষ খুবই আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করেও মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশের অনেক রিসর্টের মালিকই এতটুকু লাভের মুখ দেখতে পারছেন না। স্বাভাবিভাবেই কর্মী ছাঁটাই করতে তারা বাধ্য হচ্ছেন। সরকারি কড়াকড়ি এবং মানুষের ভয়ের কারণে পর্যটন স্পট গুলিতে মানুষের যাওয়া আসা বন্ধ।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড জানিয়েছে, ট্যুরিজম এর সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের ওপর নির্ভশীল প্রায় দেড় কোটি মানুষ খুবই আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।


ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে মোহাম্মদ শাহেদুল্লাহ জানিয়েছেন, ‘এই বিপর্যয় কাটাতে সরকারের পর্যটন ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।’ পর্যটক না থাকলেও ঋণ নিয়ে হোটেল-রিসোর্ট তৈরি করায় এখন ব্যাংকে সুদ, গ্যাস ও ইলেকট্রিক বিল দিয়ে যেতে হচ্ছে মালিকদের। অনেকেই তাই ব্যবসা গুটিয়েও নিচ্ছেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version