ইন্দ্রনীল বসু

করোনার থাবা জাঁকিয়ে বসেছে বিশ্বজুড়ে। সব দেশই করোনায় কাবু। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশ ও। পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশের বিমান পরিষেবা শিল্পও। জানুয়ারি থেকে জুন, টানা ছয় মাস বিমান চলাচল একেবারে বন্ধ ছিল বাংলাদেশে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার।
এখন বিমান চলাচল স্বল্প পরিসরে শুরু হলেও যাত্রীর অভাবে ধুঁকছে এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলি। বিনা বেতনে কর্মীদের ছুটিতে পাঠিয়েছে বেসরকারি এয়ারলাইন-ইউ এস বাংলা, রিজেন্ট এয়ারওয়জ , নভো এয়ার। বিমান পরিবহন মন্ত্রণালযের কাছে এই তিন এয়ার লাইনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুন পর্যন্ত ইউএস বাংলার লোকসান ৪০০ কোটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ২০০ কোটি আর নভো এয়ারওয়েজের এর ৬৯ কোটি টাকা।


বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মকাব্বির হোসেন জানালেন, ” আমরা সপ্তাহে একটা ঢাকা লন্ডন কমার্শিয়াল ফ্লাইট শুরু করেছি। ইউএই তেও বিমান যাচ্ছে সম্প্রতি। ১৭ টি আন্তর্জাতিক গন্তব্য র জায়গায় এখন মাত্র দুটিতে বিমান চলছে।মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত আমাদের কোম্পানির ১৭০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হোয়েছে।”
এদিকে কর্মীদের ক্ষোভের আঁচ পাওয়া গেছে বিমান শ্রমিক লীগ এর সভাপতি মশিকুর রহমান এর কথায়। তিনি জানান, বিমান বাংলাদেশ একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান যারা কর্মীদের বেতন কমিয়েছে। তার প্রশ্ন , ” সরকার কি দেউলিয়া হয়ে গেছে ? আমাদের বেতনে কোপ পরলো কেন?
সরকার থেকে কর্মী- সুরাহার সন্ধানে দিশেহারা সবাই। পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর, আলোর সন্ধানে বাংলাদেশের বিমান পরিষেবা শিল্প।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version