কলকাতা ব্যুরো : ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের প্রতারণার অভিযোগে কুখ্যাত তোলাবাজ শেখ বিনোদকে অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। সম্প্রতি এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এর আগে শেখ বিনোদের নামে খুন, তোলাবাজি, মাদক পাচার সহ এক গুচ্ছ অভিযোগ ছিল। দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় অপরাধে নাম জড়াতো বিনোদের। ২০১৫ সালে দমদম জেল থেকে মাদক পাচারকারী বৈঠা কিমাকে নিয়ে বিনোদের পালানো নিয়ে সে সময় প্রবল হইচই হয়। পরে সেসব ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন বলে পুলিশের একাংশের দাবি।

এ দিন তার গ্রেপরি নিয়ে পুলিশের দাবি, ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রিজেন্ট পার্ক থানায় অভিযোগ করেন, পাটনার বাসিন্দা কুমার আনন্দ নামে এক ব্যাক্তির অনলাইন ব্যাংক প্রতারণা করেন শেখ বিনোদ। পুলিশ খোঁজ খবর নিয়ে জানে সে টাকা জমা পড়েছে চমন সিং নামে কলকাতার এক বাসিন্দার একাউন্টে।
এদিকে চমন সিং জানান, শেখ বিনোদের গাড়ির ড্রাইভার হিসাবে তিনি কাজ করেন এবং শেখ বিনোদই তাকে ওই একাউন্ট খুলতে বলেছিলেন। চমন সিংয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ শেখ বিনোদকে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি তল্লাশি করে আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এর হদিস পাওয়া গেছে। সব একাউন্টে প্রতারণার টাকা ঢুকেছে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, শেখ বিনোদ টালিগঞ্জ ও যাদবপুরে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণার ব্যবসা চালাচ্ছিল। এবার প্রতারণার অভিযোগে ধরাপরায় এক সময় তার গতিবিধি নিয়ে লেগে থাকা এক অবসরপ্রাপ্ত অফিসার বলেন, কয়লা ধুলেও পরিষ্কার হয় না, আর অপরাধের নেশাও যে থেকে যায়, তাই-ই মনে হচ্ছে। কারণ শেখ বিনোদকে মূল স্রোতে ফেরাতে একসময় বেশ কিছু পুলিশ অফিসার সুযোগ দিয়েছিলেন।
এর আগে দমদম জেলভাঙা, মধুচক্র চালানো, তোলাবাজি ইত্যাদি নানা অভিযোগ ছিল শেখ বিনোদের নামে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version