কলকাতা ব্যুরো: হরিদেবপুরের পর এবার বেলঘড়িয়া! অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে আরও টাকা উদ্ধার। বুধবার সকাল থেকেই ওই আবাসনে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন ইডি আধিকারিকরা। বিকেলে সেখানেই আসেন তদন্তকারীদের আরও একটি টিম। বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চলে। এরপরই টাকা মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। টাকার অঙ্কের হিসেব এখনও হয়নি। প্রচুর ৫০০ টাকা ও ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফ্ল্যাটের আনাচে-কানাচে চলে তল্লাশি।

এদিন, সকাল থেকেই বেলঘড়িয়া ক্লাব টাউন হাউস কমপ্লেক্সে তল্লাশি শুরু করে ইডি। ওই আবাসনে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেই দুটি ফ্ল্যাটেই এ দিন তালা ভেঙে প্রবেশ করেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে বেশ কিছু বাক্স উদ্ধার হয়েছে বলে আগেই ইডি সূত্রে খবর পাওয়া যায়। সেগুলি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। পরে বেলা বাড়তেই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে আরও একটি দল যায় বেলঘড়িয়ার ওই আবাসনে। বাড়ানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় সংস্থার এই তৎপরতা থেকেই বোঝা যাচ্ছিল ওই ফ্ল্যাট থেকে কিছু উদ্ধার হতে পারে। বিকেলের পরই জানা গেল, অর্পিতার ওই ফ্ল্যাটেও লুকনো রয়েছে নগদ টাকা।

গত শনিবার হরিদেবপুরের অভিজাত আবাসনে অর্পিতার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বিপুল টাকা। টাকা গুনতে নিয়ে আসা হয় মেশিন। ব্যাঙ্ককর্মীদেরও ডাকা হয়। গননার পর জানা যায়, অন্তত ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ছিল সেখানে। ওই ঘটনার পরই গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

বর্তমানে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকরা। এরই মধ্যে বুধবার ফের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। তার মধ্যে অন্যতম বেলঘড়িয়ার এই আবাসন। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ থেকে যে তথ্য এসেছে, তার ওপর ভিত্তি করেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। এ দিন ইডির অভিযানের তালিকায় ছিল বস্ত্র বিপণি থেকে শুরু করে অর্পিতার বাড়ি।

তবে এই আবাসনে যে ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, তা থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল যে এই ফ্ল্যাটে গুরুত্বপূর্ণ কোনও জিনিসের হদিশ পাওয়া যেতে পারে। এরপরই টাকা উদ্ধারের খবর সামনে এসেছে। যদিও হরিদেবপুরের মতো অত বেশি টাকা নেই বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন আধিকারিকরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version