কলকাতা ব্যুরো: টানা সাড়ে পাঁচঘণ্টা জেরার পর সিবিআই দপ্তর ছাড়লেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ইতিমধ্যেই চিনার পার্কের ফ্ল্যাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গিয়েছেন  তিনি। শুক্রবার অনুব্রতকে চিকিৎসার জন্য ফের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেই খবর।

YouTube video player

বৃহস্পতিবার পাক্কা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর সিবিআই দপ্তর থেকে বেরন অনুব্রত মণ্ডল। শোনা যাচ্ছে, এদিন অনুব্রতর লিখিত বয়ান নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য রেকর্ডও করা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, এদিন জেরার সময় ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তৃণমূল নেতার কাছে তাঁর কন্যার মোবাইল নম্বরও জানতে চাওয়া হয় কারণ, ঘটনার সময় তিনি নিজের মোবাইল ব্যবহার না করে কন্যার মোবাইল ব্যবহার করে থাকতে পারেন। তা তদন্ত করে দেখার জন্য গোয়েন্দারা তাঁর কন্যার মোবাইল নম্বর নেন। তৃণমূল নেতার দেহরক্ষীদেরও ফোন নম্বর নেন সিবিআই গোয়েন্দারা।

YouTube video player

উল্লেখ্য, বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী সাইগেল হোসেনের বোলপুর ও মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ওইদিনই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই অনুব্রতকে তলব করে। বুধবার বিকেলেই বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন অনুব্রত। যদিও সিবিআইয়ের মুখোমুখি হবেন কিনা সে বিষয়ে জল্পনা জিইয়ে রেখেছিলেন। জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসছেন।

তবে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরন অনুব্রত। সিবিআইয়ের নির্ধারিত সময়সীমার আগেই সোজা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। ঘড়ির কাঁটায় তখন ১১টা ৪২ মিনিট। 

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল গরু পাচার মামলায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর। সেই মতো ঠিক তার আগের দিনই কলকাতায় চলে আসেন তৃণমূল নেতা। ৬ তারিখ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুব্রত। এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি হন। একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল তাঁর। টানা ১৭ দিন ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। চিকিৎসকদের পরামর্শমতো চিনার পার্কের ফ্ল্যাটেই বিশ্রামে ছিলেন তিনি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version