কলকাতা ব্যুরো: বুধবার ৯ মন্ত্রীর শপথগ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দপ্তর বন্টন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন নতুন মন্ত্রীরা। পুরনো একাধিক মন্ত্রীর দায়িত্ব কমালেন মুখ্যমন্ত্রী।

পাশাপাশি একাধিক দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের দায়িত্বে রদবদল ঘটল। দায়িত্ব কাটছাঁট হল ফিরহাদ হাকিমের। হাতবদল হল পরিবহণ এবং আবাসন দপ্তরের। পরিবহণ দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন মন্ত্রিসভার নতুন মুখ স্নেহাশিস চক্রবর্তী।

আবাসন দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন অরূপ বিশ্বাস। ফিরহাদের হাতে রইল পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব।

এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা পরিষদীয় দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন বর্ষীয়ান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কৃষিদপ্তরের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। আবার শিল্প ও বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব গেল শশী পাঁজার হাতে। তাঁর কাছে নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের দায়িত্ব ছিল আগেই। মলয় ঘটকের হাতে থাকা পূর্তদপ্তরের দায়িত্ব পেলেন পুলক রায়।

একঝলকে দেখে নিন নতুন মন্ত্রীরা কে কোন দায়িত্ব পেলেন?

পূর্ণমন্ত্রী

প্রদীপ মজুমদার- পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন
পার্থ ভৌমিক- সেচ ও জলপথ
উদয়ন গুহ-উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন
বাবুল সুপ্রিয়- তথ্য প্রযুক্তি ও পর্যটন
স্নেহাশিস চক্রবর্তী- পরিবহণ

স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা

বীরবাহা হাঁসদা- বন এবং স্বনির্ভর-স্বনিযুক্তি
বিপ্লব রায়চৌধুরী- মৎস্য

প্রতিমন্ত্রী

তাজমুল হোসেন- ক্ষুদ্র, কুটির ও বস্ত্র
সত্যজিৎ বর্মন- শিক্ষা

তবে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন হুমায়ন কবীর, সৌমেন মহাপাত্র, রত্না দে নাগ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় প্রত্যাশামতোই বাদ পড়লেন শিক্ষাদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীও। ওয়াকিবহাল মহল বলছে যে এবারের মন্ত্রিসভার ছবি দেখে একটা বিষয় স্পষ্ট, মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শেষ কথা ভাবমূর্তিই। দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে মন্ত্রিত্ব-দলের সদস্যপদ সবই খোয়াতে হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version