কলকাতা ব্যুরো: পরপর জেহাদি হামলায় ফের রক্তাক্ত আফগানিস্তান। বুধবার কাবুলের একটি মসজিদের পাশাপাশি মাজার-ই-শরিফের তিনটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটায় সন্ত্রাসবাদীরা। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত বহু। মসজিদে বিস্ফোরণের পর কাবুলের তালিবান কমান্ডার এক বিবৃতি জারি করে দাবি করেছে যে ওই ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় হাসপাতাল টুইট করে জানায়, তাদের কাছে পাঁচটি মৃতদেহ রয়েছে এবং বারোজন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তালিবান সদস্যকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, হজরত জাকারিয়া মসজিদের ভেতরে যেখানে কোরান রাখা হয় সেই জায়গায় বোমা রাখা হয়েছিল। বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, মাজার-ই-শরিফে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওই অঞ্চলের কমান্ডার মহম্মদ আসিফ ওয়াজারি রয়টার্সকে জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী। মৃত ও আহতরা প্রায় সকলেই আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু মুসলিম শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত এবং শিয়াদেরই নিশানা করেছিল জঙ্গিরা। বলে রাখা ভালো এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় কোনও সংগঠন স্বীকার করেনি। তবে মনে করা হচ্ছে বিস্ফোরণগুলির নেপথ্যে সুন্নি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের হাত থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে পশ্চিম কাবুলের খলিফা সাহেব মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ওই হামলায় মৃত্যু হয় ৫০ জনের। তার আগেও আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। এসব হামলায় প্রায় ১০০ নিরীহ আফগান নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিয়া মুসলিমদের মসজিদগুলিকে নিশানা করেছে আল কায়দা ও আইএসয়ের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি। তবে জেহাদিদের হাত থেকে দেশটির সংখ্যাগুরু সুন্নি সম্প্রদায়ের লোকজনও যে সুরক্ষিত নন, তার সর্বশেষ উদাহারণ কাবুলের খলিফা সাহেব মসজিদ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version