কলকাতা ব্যুরো: রামপুরহাট গণহত্যার ঘটনায় সরগরম রাজ্য। এমতাবস্থায় আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। স্বভাবতই উপনির্বাচনে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। তাই রাজ্য পুলিশে কেবল আস্থা না-রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বারস্থ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷

বালিগঞ্জ এবং আসানসোল উপনির্বাচনের জন্য মোতায়ন করা হতে পারে ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার রাতের মধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছবে সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর তেমনটাই। আসন্ন উপনির্বাচন সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা, বিএসএফ ও সিআইএসএফের কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। শনিবারের সেই বৈঠকেই উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের রূপরেখা চূড়ান্ত হতে পরে বলে খবর। আর শনিবার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে রবিবার থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এরিয়া ডমিনেশন এবং রুট মার্চ শুরু করে দেবে বলে খবর।

উল্লেখ্য আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আর দুটিই হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। একটি কলকাতার অভিজাত, গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। আরেকটি কোলিয়ারি জোনের অশান্তিপ্রবণ কেন্দ্র। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি ভাবনাচিন্তা থাকবেই নির্বাচন কমিশনের। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পুরনির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোটার এবং ভোটকর্মীদের সুরক্ষায় কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ কমিশনের কর্তারা। তার উপর গোদের উপর বিষফোঁড়া রামপুরহাট গণহত্যা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই কপালে চিন্তার ভাঁজ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের। সেই কারণেই এত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ভাবনা বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আসন পূরণ করতে বালিগঞ্জে উপনির্বাচন। তৃণমূলের হয়ে লড়াইয়ে প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। আর তাঁর ছেড়ে আসা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রেও একইদিনে উপনির্বাচন। ১৬ তারিখ দুই কেন্দ্রের ফলপ্রকাশ। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version