কলকাতা ব্যুরো: দাদা সঠিক ভাড়া দিন, দয়া করে টিকিট নিন। টিকিট স্যানিটাইজ করা আছে।
আনলকের বাজারে যাত্রীদের কাছে করুন অর্তি বাস মালিকদের। চিপকানো হচ্ছে পোস্টারও। যাতে পরিষ্কার লেখা থাকছে সব টিকিট স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। তাই তারা নিশ্চিন্তে তা হাতে নিতে পারেন। উদ্দেশ্য একটাই। এই পোস্টার দেখে যাত্রীরা যাতে ভাড়া দিয়ে অন্তত টিকিটটা নেন। আর টিকিট বিক্রির একটা হিসেব পান বাস মালিকরা।
রাজ্য সরকার রাস্তার কর, পারমিট ফি ছাড় দেওয়ায় কিছুটা অক্সিজেন পেয়েছেন তারা। কিন্তু নয়া সমস্যায় এখন জর্জরিত অধিকাংশই। বাসে যাত্রী হলেও আয়ের পরিমান দিন দিন কমছে। অধিকাংশ অফিস কাছারিই খোলা থাকায় মানুষকে ঘর থেকে বেরোতেও হচ্ছে। আর তারা বাসেও চড়ছেন। ফলে যাত্রী হচ্ছে ভালোই। কিন্তু টিকিট বিক্রি থেকে আয় ঘরে উঠছে না। কারন যাত্রীরা ভাড়া দিলেও সংক্রমণের আশঙ্কায় কাগজের টিকিট নিতে চাইছেন না। টিকিট থেকে যাচ্ছে কন্ডাক্টরের ব্যাগেই। তিনি এসে মালিককে বলছেন যে কটি টিকিট কাটা হয়েছে সেই ক’জনই বাসে উঠেছেন। বাকি যারা টিকিট নেননি তাদের টাকা ঢুকে যাচ্ছে ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টরের পকেটে। ফলে বাস চালিয়ে যায় দেখছেন না মালিক। সমস্যায় পড়েছেন তারা।


নিয়মমতো বেসরকারি বাসের ড্রাইভার কন্ডাক্টরদের কোনও নির্দিষ্ট বেতন থাকে না। টিকিট বিক্রির ওপর কমিশন পান তারা। ড্রাইভার ১২ শতাংশ, দুই কন্ডাক্টর ছ’শতাংশ করে ১২ শতাংশ। সকালে বাস বের করার সময় যে পরিমান টিকিট নিয়ে বেরোন, রাতে বাস গ্যারেজে ঢোকানোর সময় আবার দেখে নেন কত টিকিট বিক্রি হয়েছে। সেই বিক্রি থেকেই কমিশন পান তারা। কিন্ত করোনা আবহে সংক্রমণের ভয়ে টিকিট থেকে যাচ্ছে কন্ডাক্টরের ব্যাগেই। এমনকি অনেকে ১০ টাকার নোট দিয়ে খুচরো ফেরত পেলেও নিতে চাইছেন না। যাত্রীদের বক্তব্য, কন্ডাক্টর দিনভর বাসে থাকেন। নানা জায়গা থেকে আসা নানান যাত্রীদের সংস্পর্শে আসেন তারা। ফলে তারাও যে সংক্রমিত হচ্ছেন না তার গ্যারান্টি কোথায়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version