কলকাতা ব্যুরো: রবিবার নতুন করে প্রাকৃতিক বিপর্যয় আবার বিধ্বস্ত হলো উত্তরাখন্ড। এখনো পর্যন্ত বহু মানুষের কোন হদিস নেই। আর এই অবস্থাতেই গত চার দশক ধরে উত্তরাখণ্ডে বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ক্ষতির খতিয়ান নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। উত্তর প্রদেশের মধ্যে থাকাকালীন হাজার ১৯৯১ সালে ভূমিকম্প প্রায় ১০০ জন মারা গিয়েছিলেন।  ১৯৯৮ সালে কৈলাস মানস সরোবরের পুণ্যার্থীরা পাহাড় ধসে প্রায় আড়াইশো জন মারা যান। ১৯৯৯ সালে চামোলিতে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়। প্রায় ১০০ জন মারা যান রুদ্রপ্রয়াগ জেলার লাগোয়া চামোলিতে। ২০১৩ সালে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বন্যার মুখে পড়ে উত্তরাখন্ড। প্রায় পাঁচ হাজার ৭০০ জন মারা যান ওই ঘটনায়। এদের মধ্যে চার ধাম যাওয়ার পূর্নার্থীরাও ছিলেন। 

তপোবন বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে রবিবার সকালে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া দেড়শ জনের এখনো কোনো হদিশ নেই। এরইমধ্যে হিমবাহ ফেটে গিয়ে তুমুল প্রাকৃতিক বিপর্যয় উত্তরাখণ্ড জুড়েই প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এখনো পর্যন্ত তিন জন শ্রমিকের দেহ ইন্দো- টিবেটিয়ান বর্ডার ফোর্স উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু হিমবাহ বিস্ফোরণের ফলে যেভাবে বিশাল একটি এলাকা বরফের নদী হয়ে গিয়েছে, তাতে বহু ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। অন্তত তিনটি সেতু ভেঙে গেছে। যাবতীয় রকম যোগাযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে নিরাপত্তা আধিকারিকরা। 

সীমান্ত থাকা উত্তরাখণ্ডের রেনি গ্রাম এদিন প্রাকৃতিক বিপর্যয় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আই টি বি পীর মুখপাত্র বলেছেন, প্রায় দেড়শো শ্রমিক তপবন এলাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি কাজ করছিলেন। তাদের অধিকাংশ নিখোঁজ। কোন খবর নেই তাদের। বিকেল পর্যন্ত আইটিবিপি প্রায় আড়াইশো নিরাপত্তারক্ষী উদ্ধারের কাজে নেমেছেন। একটি টানেলের মধ্যে ১৬ থেকে ১৭ জন শ্রমিক ঢুকে বসে রয়েছেন বলে জানাচ্ছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version