কলকাতা ব্যুরো: সুন্দরবনে পিকনিক করতে গিয়ে চলন্ত লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কবলে পড়লেন পর্যটকরা। লঞ্চে আগুন লেগে যাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে পর্যটকরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পর্যটকরা প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আরও বড় বিপদের মুখে পড়ে যান। আজমলমাড়ির যে জঙ্গলের গায়ে লঞ্চটি ভেরার পর পর্যটকরা লাফিয়ে সেখানে নেমে পড়েন, সেটি ঘন জঙ্গল। সেখানে নিত্য বাঘের যাতায়াত চলে। তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি এবং দূর থেকেই লঞ্চ দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখে দ্রুত মাঝিমাল্লা, মৎস্যজীবীরা ছোটেন সেখানে।


রায়দিঘি ফরেস্ট রেঞ্জের মইপিট কোস্টাল থানা এলাকার ওই ঘটনাস্থলে গিয়ে তারাই একদিকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। অন্যদিকে পর্যটকদের দ্রুত ওই বাঘের জঙ্গল থেকে নিরাপদে উদ্ধার করেন বন ও পুলিশকর্মীরা।
যদিও তার আগেই সকলের চোখের সামনে পুরোপুরি ভষ্মিভূত হয়ে যায় মা সর্বমঙ্গলা নামের লঞ্চটি। বেলা সাড়ে ১২ নাগাদ রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বাস্ট করে আগুন লাগে। নদীর হাওয়ায় দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। মাঝিরা লঞ্চটি নদীর ধারে নিয়ে যাওয়ার আগেই আগুন ছড়িয়ে যায়। তখন ৩৫ জন পর্যটক ও পাঁচজন মাঝি মাল্লার জলে ঝাপ দিয়ে নিজেদের জীবন রক্ষা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

https://youtu.be/qUDSeZBFpDc

এদিন সকালে বারাসাত থেকে ৩৫ জনের পিকনিকের দলটি নামখানা দিয়ে সুন্দরবনের ঢুকেছিল। ২০ নম্বর আজমল মাড়ির জঙ্গলের কাছে নদীতে ওই লঞ্চে আগুন লেগে যায়। বনদপ্তর এবং পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পর্যটকরা উদ্ধার পাওয়ার পর যথেষ্ট আতঙ্কিত। স্থানীয় যারা আগুন থেকে বাঁচাতে নদীর চরে গিয়ে পর্যটকদের উদ্ধার করেন পরে তারা বলেন, ওই জঙ্গল বাঘের বিচরণক্ষেত্র। ফলে আর বেশিক্ষণ সেখানে থাকলে বড় বিপদ হতে পারত।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version