কলকাতা ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতির পরেও উলুবেড়িয়ার সভা বাতিল করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একুশে জুলাই উলুবেড়িয়ায় সভা হবে না বলেই জানান তিনি। পাল্টা আগামী ২৭ জুলাই প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এদিন উলুবেড়িয়ার সভা নিয়ে একাধিক শর্ত আরোপ করে কলকাতা হাইকোর্ট।

এক নজরে হাইকোর্টের শর্তাবলী:

রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ছ’টার পর থেকে মানুষ এবং গাড়ি সভাস্থলের উদ্দেশ্য যেতে পারবে।
হাওড়ার স্থানীয় মানুষ ছাড়া বাইরের লোক যেন সভায় না আসেন তা নিশ্চিত করবে বিজেপি।
বিজেপি জেলা অফিস সংলগ্ন মনসাতলা মাঠে করতে হবে সভা।
বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টার মধ্যে স্থানীয় থানাকে সভাস্থল সম্পর্কে অবগত করতে হবে।
পুলিশ সভাস্থল পরিদর্শন করবে। দেখবে যে ২০০০ লোকের জন্য জায়গাটি পর্যাপ্ত কিনা। যদি দেখা যায় ২০০০ জন মানুষের জন্য সভাস্থল পর্যাপ্ত নয়, তাহলে কত মানুষ নিয়ে সভা করবেন সে বিষয়ে পুলিশকে অবগত করবে বিজেপি।
জাতীয় সড়ক যাতে অবরুদ্ধ না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।
ওই সভাস্থলে ২০টি লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে। সভাস্থলের জন্য ২০টি আদৌ পর্যাপ্ত কিনা, খতিয়ে দেখবেন মহকুমাশাসক। প্রয়োজনে তিনি লাউড স্পিকারের সংখ্যা কমাতে পারেন।
কিছুদিন আগেই যেহেতু ওই এলাকায় অশান্তি হয়েছিল তাই বক্তারা যেন কোন প্ররোচনামূলক বক্তব্য না রাখেন এবং প্ররোচনামূলক ভিডিও না দেখান, যার দ্বারা মানুষ উত্তেজিত হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বিজেপিকে।

বুধবার হাইকোর্টের নির্দেশের পর এদিন উলুবেড়িয়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাইকোর্টের শর্ত নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি। রাজ্যে কার্যত বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। এরপরই বৃহস্পতিবারের সভা বাতিলের কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তার পরিবর্তে আগামী ২৭ জুলাই সভার ডাক দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। শুভেন্দুর অভিযোগ, কুড়িটা শর্ত চাপিয়ে তারা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দলকে সভা করতে দেবে না, সেটা না-বলে পক্ষান্তরে যাতে বিজেপি সভা না-করতে পারে তাঁর ব্যবস্থা করেছে।

তবে সভা বাতিলের পরিকল্পনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে গিয়েছিল বিজেপি। আদালত বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে সভার অনুমতি দিয়েছিল। লোক হবে না বলে পালিয়ে গেল শুভেন্দু অধিকারী। মানসিক অবসাদ থেকে হাইকোর্টকে কটাক্ষ করছেন তিনি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version