কলকাতা ব্যুরো : বেসরকারি সব স্কুলগুলোকে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রণের মাপকাঠি তৈরি করা না গেলে এরা যথেচ্ছভাবে অভিভাবকদের কষ্টার্জিত অর্থ নয় ছয় করবে। এই রকমভাবেই দ্বর্থহীন ভাষায় বেসরকারি স্কুল গুলোর কার্যকলাপের নিন্দা করেছে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে কলকাতা জেলার সম্পাদক প্রিয় নিয়োগী জানিয়েছেন, কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে। এর ফল সাধারণ মানুষকে ভুগতে হবে।
যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ও শিক্ষাবিদ গোপা দত্তকে নিয়ে যে কমিটি হাইকোর্ট তৈরি করে দিয়েছে তারাও বেসরকারি স্কুলের আয় ব্যয়ের খরচ দেখে হতবাক। জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের আয় ব্যয়ের মধ্যে কোথা থেকে শিক্ষক দিবস বা শিশু দিবস ও বড়দিনের খরচ এলো তা বুঝে উঠতে পারছেন না অভিভাবকেরাও। গোটা ব্যাপারটি ঘিরে শিক্ষক সংগঠন ও অভিভাবক মহলে চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। নাম বলতে অনিচ্ছুক কলকাতার নামি এক স্কুলের এক অভিভাবক জানিয়েছেন, ” শুধু কি তাই। কত টাকা ডোনেশন দিয়ে যে ছেলেকে ভর্তি করাতে হয়েছে তা কি বলবো। এ ভাবে চলতে থাকলে পড়াশুনা মধ্যবিত্তের হাতের বাইরে চলে যাবে।”
সবাই আশা করছেন আদালত যে রায় দেবেন তা যেন সরকার মেনে চলেন এবং বেসরকারি হাসপাতাল গুলিকে যে ভাবে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এবং নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বেসরকারি স্কুলগুলোকে ও যেন সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
