কলকাতা ব্যুরো: রাজ্য টাকা নিয়ে তৈরী, অথচ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পাঠাচ্ছে না করোনার টীকা। আর এই অভিযোগ নিয়ে আবার কেন্দ্রীয় সরকারকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত রকম রেকর্ড ব্রেক করে এবার গুটি গুটি পায়ের ২ লক্ষের দিকে এগোচ্ছে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। অথচ মানুষজনকে দেখে তা মনেই হচ্ছে না। সকলেরই যেন গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে ব্যাপারটা। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ২৯৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ২৭১ জন আর প্রাণ হারিয়েছেন ১০২৬ জন মানুষ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে আটকানোর জন্য। দেশের সাথে সাথে রাজ্যেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার কামড়। ভোট চলার জন্য কোনোরকম বিধিনিষেধ জারি করা যাচ্ছে না রাজ্যে। অন্যদিকে ভোটের প্রচার করতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হচ্ছেন এক জায়গায়। ফলে সংক্রমণ বাড়ছে আরও দ্রুত গতিতে।

গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮১৭ জন, সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৭৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। এই মুহুর্তে রাজ্য টীকাকরণের দিকে বেশী মননিবেশ করেছে, এটাই এখন একমাত্র উপায়। এদিকে কেন্দ্র থেকে নাকি টীকা আসছে না এমনটাই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাসত ও বিধাননগরে মঙ্গলবারের নির্বাচনী সভা থেকে কোভিড টিকা সরবরাহ নিয়ে কেন্দ্রের গাফিলতির কথা তুলে ধরলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে যখন করোনার প্রকোপ কমে এসেছিল, তখন সবাইকে টিকা পৌঁছে দিতে পারলে সংক্রমণ অনেকটাই কমত। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। তাই দেশে নতুন করে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার জন্য দায়ী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ও তার স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এরপরে তিনি টেনে আনেন গুজরাতের টিকাকরণ প্রসঙ্গ। তিনি বলেন যে গুজরাতে বিজেপি-র দলীয় কার্যালয় থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই কাজ নিয়ে তিনি আঙ্গুল তুলেছেন বিজেপির দিকে। এবং তিনি তার সাথে এও বলেন যে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি নিয়ম মেনে টীকা প্রদান করা হয়।

এর পরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করেন মমতা। বলেন, ‘‘আমি টাকা নিয়ে বসে আছি, দিল্লি টিকা দিচ্ছে না। তাই আমি যতটুকু জোগাড় করতে পেরেছি, বুধবার থেকে কলকাতা ও পুর শহরগুলিতে বিনা পয়সায় টিকা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। যার যার প্রয়োজন, যেখানে যেখানে ওয়ার্ড অফিস আছে, সেখান থেকে টিকা পাবেন। শুধু নির্বাচনের দিন ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে, ইলেকশন শেষ হলে তার পর আবারও চালু হবে।’’

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version