কলকাতা ব্যুরো : এবার পুজোয় যদি বেরোনোর ইচ্ছা থাকে তবে কেদার আর বদ্রি দুটোই দর্শন হবে আপনার। কলকাতার দক্ষিণ থেকে যদি যাত্রা শুরু করেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে একবার চক্কর দিয়ে যাবেন। বদ্রি এবার ওখানেই চলে আসছে। তারপর ইতিউতি ঘুরে চলে আসুন লেকটাউন। দেখে যান কেদারনাথ। অনেকে রসিকতা করে বলছেন, দাদা গঙ্গোত্রী আর যমুনেত্রি বাদ থাকে কেন আর ? চার ধাম যাত্রাই হয়ে যেত। জোকস আপ্যার্ট, যতই করোনা হোক না কেন বাঙালির দূর্গা ভক্তিতে ভাটা পড়েনি। কলকাতার ছোটো পূজো যদি বাদ দেন, বড় পুজোর কিন্তু বেশ ধুমধাম। বাজেট কমলেও উৎসাহ কমেনি কলকাতার। কয়েকদিন আগে শ্রী লেদার্স এ যা ভিড় দেখেছে বাঙালি , কে বলবে কলকাতায় করোনা আছে ? দিলীপ বাবু যতই পূজো না করার পরামর্শ দিন না কেন, শোনে কে ?

শ্রীভূমির পূজো মানেই এলাহি আয়োজন। কখনো বাহুবলী, কখনো পদ্মাবত, আবার কখনো পুরির মন্দির। এবারে কেদার কেন ? উত্তর দিলেন শ্রীভূমির জেনারেল সেক্রেটারি দিপ্তেন্দুবাবু। ” এখানে পুজোর জন্য বরাবরের মতো একটা লোহার কাঠামো আছে। তার সঙ্গে কেদার মন্দির মানানসই হবে বলেই এই পরিকল্পনা। এমনিতেই বাজেট কম। তাই প্রস্তাব শুনেই আমরা রাজি হয়ে গেছি। ” তাও ভালো । অনেককে বলতে শুনেছিলাম, এবার সুশান্ত সিং রাজপুতের স্মৃতি উসকে দিতে তার কেদারনাথ ছবির জন্যই এবার থিম কেদারনাথ। অবশ্য আর একটা কারণ ও জানা গেলো উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে। অনেকে এবার নাকি কেদার যেতে পারেন নি পান্ডেমিকের ভয়। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছে শ্রীভূমির পূজো। সত্যিটা যাই হোক লোকের ভিড় এখানে চোখে দেখার মত। পুজোর লাইন এগোয় শম্বুক গতিতে। আর দড়ি উঠলেই লোকে এমন দৌড় মারেন যেন রাজধানী এক্সপ্রেস ছুটছে। এবার কেমন ভিড় হবে? সময়ই বলবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version