কলকাতা ব্যুরো: কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে রাজ্যের কোথাও সংক্রমণ খুব উদ্বেগজনক নয় ঠিকই। কিন্তু আশঙ্কার কিছু খবর আছে। হাটবাজার তো প্রথম থেকেই সংক্রমণের অন্যতম উৎস। গণপরিবহণও। বাসের পর মেট্রো চালু হয়ে গিয়েছে। এবার সিনেমাহল খুলে যাচ্ছে। থিয়েটার, যাত্রা তো বটেই, জলসার ওপরও নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে ১ অক্টোবর থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার সন্ধ্যায় টুইটে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি পুজোয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে না করেছেন ঠিকই। কিন্তু অন্যসময় জলসায় আর বাধা থাকছে না। এইসব কিছুই কিন্তু সংক্রমণ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যত স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হোক না কেন, দুশ্চিন্তা থাকবেই। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে ভাবার কোন কারণ নেই যে চিন্তা না করলেও চলবে। তার ওপর কিছু বিষয়ে এমন ধোঁয়াশা তৈরি হয়ে আছে যে সংশয় থেকেই যায়। এই যেমন কোন জাদুতে দৈনিক সংক্রমণ, সুস্থতা ও মৃত্যু এরকম একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জে আটকে রয়েছে গত ছয় সপ্তাহ ধরে? তাছাড়া করোনা টেস্টের সংখ্যা আগের থেকে কমলেও আক্রান্ত শনাক্তকরণে তার প্রতিফলন নেই কেন? কয়েকদিন দৈনিক টেস্ট ৪৫ হাজারের ওপর ছিল। এখন নেমে ৪৩ হাজারের ঘরে। শনিবার টেস্ট হয়েছে ৪৩,২৮৫ জনের। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাড়লেও মোট টেস্টের সংখ্যা এই ৬ মাসে ৩০ লক্ষ পার হয়ে গেল। শনিবার পর্যন্ত টেস্ট হয়েছে মোট ৩০,৫৫,০৩৯ জনের। সুস্থতার হার সামান্য বেশি। কিন্তু সংখ্যায় আগের দিনের চেয়ে কম। আজ হার ছিল ৮৭.৬১। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ২,৯৫৫ জন। শুক্রবারের চেয়ে ২৩ কম। এই ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,১৮১ জন, শুক্রবারের চেয়ে ৯ কম। রাজ্যে এখন মোট আক্রান্ত ২,৪৪,২৪০, মোট সংক্রমণ মুক্ত ২,১৩,৯৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি ৫৬ জন। ফলে রাজ্যে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হল ৪,৭২১। রাজ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত ৬৬৮, সুস্থ ৫৫০ ও মৃত ১৩। উত্তর ২৪ পরগনায় এই তিন পরিসংখ্যান হল যথাক্রমে ৬৯৩, ৫৪৫ ও ১৪। হাওড়ায় ১৭০, ১৮১ ও ৫। পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৪৬, ২০৫ ও ৪। হুগলিতে ১৪০, ১৫৫ ও ২। পশ্চিম বর্ধমানে ১১৯, ১০২ ও ২। পূর্ব বর্ধমানে ৫৬, ১০৮ ও ২। পূর্ব মেদিনীপুরে ১২৯, ১৬৭ ও ২। বাঁকুড়ায় ৭৩, ৮৫ ও ২। নদিয়ায় ১১৭, ১০৬ ও ১। এছাড়া ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে বীরভূম ও ঝাড়গ্রামে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version