কলকাতা ব্যুরো: ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ডে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলই প্রতিবাদী ছাত্রনেতাকে নিজেদের শিবিরের সদস্য বলে দাবি করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এবার তা নিয়েই অন্যদের বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আনিসের ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ করে তাঁর মন্তব্য, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনীতির যোগ থাকতে পারে। তবে ছেলেটা মুসলিম বলে এত রাজনীতি হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাওড়ার এসপি, এএসপি-কে অপসারণের দাবি তুলে জানান, সিবিআই তদন্তই প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে পারবে। আনিসের পরিবারের পাশে রয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাতে আমতা থানা এলাকার বাসিন্দা আনিস খানের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশের পোশাক পরা কয়েকজন। তাঁরা বাবাকে গানপয়েন্টে রেখে আনিসের সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন তাঁকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মৃত্যু হয় আনিস খানের।

তারপর থেকেই সুবিচারের দাবিতে উত্তাল রাজ্য। সরব নানা রাজনৈতিক মহল। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে হাজারও প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক উসকে তুলল। তাঁর মন্তব্য, মারা যাওয়ার পর সে এখন সবার হয়ে গিয়েছে। কোন দলের, সেটা প্রশ্ন নয়। ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে সন্দেহজনকভাবে। আর সে মুসলিম বলে সবাই তাকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এত রাজনীতি হচ্ছে।

আনিস হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে আসরে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দুর বক্তব্য, পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাসপেন্ড করা উচিত। তাদের নির্দেশেই ওই রাতে পুলিশ আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল। আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে সিট তৈরি হয়েছে। সিবিআই তদন্ত ছাড়া কোনওভাবেই সত্য উদঘাটন সম্ভব নয়। আনিসের পরিবার যদি প্রকৃত তদন্ত চায়, তাহলে তাদের পাশে আমি, শুভেন্দু অধিকারী আছি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version