%%sitename%%

কলকাতা

আনলকে ড্রাইভিং শেখায় মজেছে নারীরা

By admin

August 09, 2020

কলকাতা ব্যুরো: চালকের হাতে স্টিয়ারিং-র বদলে লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে নিজেরাই গাড়ি ছোটাতে চাইছেন বহু মানুষ। বিশেষত মহিলারা। চালকের মর্জির ধার না ধরে বরং এসকালেটারে পা দিয়ে নিজেরাই পৌঁছে যেতে যান অফিস কাছারিতে। এতে যেমন করোনা পরিস্থিতিতে এড়ানো যাবে সংক্রামণের ভয়, তেমনই খারাপ অর্থনৈতিক বাজারে বেঁচে যাবে ড্রাইভারের মাইনেও। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই মোটর ট্রেনিং স্কুল খুলতেই সেখানে ভর্তি হওয়ার লাইন পড়ছে শিক্ষার্থীদের।

আর এই স্কুলের ভিতর গাড়ি শেখার লোকের লাইন দেখলে মনে হবে সত্যিই যেন আরও বেশি করে আত্মনির্ভর হতে চাইছে শহর কলকাতা! রোজই গড়ে তিন-চার জন নতুন শিক্ষার্থী ভিড় করছেন স্কুলে। আগে যে সংখ্যাটা গড়ে ছিল তিন দিনে দু জন। গত দিন পনেরোর মধ্যেই এক একটি মোটর ট্রেনিং স্কুলে ৪৫ থেকে ৫০ জন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে একটা বড় অংশই ছাত্রী থেকে মহিলা রয়েছেন। ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছাত্র ছাত্রীরা তো সারা বছরই ভর্তি হতে থাকেন স্কুলে। এমনকি যারা কখনও গাড়ি চালানোর কথা ভাবতেন না সেই স্কুল শিক্ষকরাও অনেক জায়গায় গাড়ি চালানো শিখতে চাইছেন। এমমটাই জানাচ্ছেন গাড়ি চালানোর ট্রেনাররাই। কলকাতায় মোট মোটর ট্রেনিং স্কুলের সংখ্যা ৬১ টা। গোটা রাজ্যে আছে ২৫০ টি চালক তৈরির স্কুল। সরকারি নিয়ম মেনেই প্রথমে বই দিয়ে ক্লাস করানো হয় শিক্ষার্থীদের। তারপর পরীক্ষার পর একেবারে প্র্যাকটিক্যাল গাড়ি চালানো শেখানো হয়। দু মাসের কোর্স। শিখতে কোনও জায়গায় পাঁচ হাজার তো কোনও জায়গায় সাত বা আট হাজার। দিন কয়েক ধরে গাড়ি শেখায় মানুষের আগ্রহ দেখে রেট বাড়িয়েছে অনেক স্কুলই। পাস করলে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে দেওয়া হয় এখান থেকেই। গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞ ড্রাইভাররাই এই প্রশিক্ষণ দেন।

আনলক ফেজ ওয়ানে যখন প্রথম এই ট্রেনিং স্কুলগুলি খোলে তখন অনেক নিয়ম মেনেই চালানো শেখানো হত। শিক্ষার্থী বসতেন চালকের আসনে। যিনি শেখাতেন তিনি থাকতেন পিছনের সিটে। তবে দিন সাতেক ধরে পাশে বসেই গাড়ি চালানো শেখানো হয়। গাড়ি চালানোর শিক্ষকদের কথায়, এখন বহু লোক হুমড়ি খেয়ে ড্রাইভিং শিখতে চাইছেন। তার দুটি কারন আছে। প্রথমত, কারও বা গাড়ি আছে। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক টানাটানিতে চালক রাখতে চাইছেন না। আবার কেউ বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিস কাছারি করবেন বলে নতুন গাড়ি কিনেছেন। কিন্তু চালক রাখবেন না। তাই নিজেরাই স্টিয়ারিং ধরছেন। মোটর ট্রেনিং স্কুল ওনার্স এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক বিমল গুহ বলেন “লক ডাউনের পর দেখছি গাড়ি চালানো শেখার জন্য লোকের ভিড় বাড়ছে। বিশেষত মহিলারা বেশি ভিড় করছেন। ড্রাইভারের উপর নির্ভর না করে নিজেরাই স্টিয়ারিং ধরছেন। “