কলকাতা ব্যুরো: বুধবার আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র সংরক্ষণ দিবসে খুশির খবর পশুপ্রেমীদের জন্য। পাঁচ বছরে দেশে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুনের বেশি বেড়েছে। যা এক কথায় যথেষ্ট কৃতিত্বের। আর এ রাজ্যের ক্ষেত্রে সুন্দরবন সেই সংরক্ষণের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা দেশে ২০১৪ সালে যেখানে ১৪০০ বাঘের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে ২০১৯-এ দেখা মিলছে ২৯৬৭ টি বাঘের। আর এই সুমারিতে দেশে সবচেয়ে বেশি বাঘের অস্তিত্ব মিলেছে মধ্যপ্রদেশে। ৫২৪ টি বাঘ সেখানকার ব্যাঘ্র প্রকল্পগুলিতে আছে। এছাড়াও কর্ণাটকে ৫২৪ টি, উত্তরাখণ্ডে ৪৪২ টি বাঘ রয়েছে। একদিকে চোরা শিকার আটকে দেওয়া, অন্যদিকে বাঘের বেড়ে ওঠার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি এই সাফল্যের বড় কারণ বলে মনে করেন বনকর্তারা।
তবে এর উল্টো দিকও আছে। যে ব্যাঘ্র প্রকল্পগুলিতে বাঘ বেড়েছে, তার বাইরে নতুন করে বাঘের আবাসভূমি তেমন তৈরি হয়নি। সেক্ষেত্রে কিছুটা ব্যাতিক্রম এ রাজ্যের নেওড়াভ্যালি। সাম্প্রতিক কালে এক মাত্র ওই জঙ্গলেই বাঘের অস্তিত্ব দেখা গিয়েছে। কিন্তু বাঘের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে এ রাজ্যের বক্সা, ঝাড়খণ্ডের পালামৌ, মিজোরামের ডামপা ব্যাঘ্র প্রকল্পে।
আবার বনের রাজার অস্তিত্ব সংকট হয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের নাগার্জুন পার্ক, তেলেঙ্গানার আমারাবাদ ও কাওয়াল, ছত্তিসগড়ের ইন্দ্রাবতী, আচারকমারের মতো জঙ্গলে। আবার এত হিসেব নিকেশের মধ্যেও এখনও মাওবাদী প্রভাবিত অবুজমার, ক্যাংড়াঘাটি বা ওড়িশার টিকরপাড়ার মতো প্রকল্পে আদপে বাঘ আছে কি না, বা থাকলেও কত সংখ্যায়, সে ব্যাপারে এখনও ধোঁয়াশা আছে।
সে দিক দিয়ে সুন্দরবন নিজেকে অনেকটাই সাজিয়ে নিয়েছে। চোরাশিকারের দাপট নিয়ন্ত্রণ আর সুন্দরবনের বাসিন্দাদের বিকল্প কর্ম সংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ায় নিরাপত্তা বেড়েছে রয়াল বেঙ্গল টাইগারের।