কলকাতা ব্যুরো: সপ্তম দফার ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার এন্ড রিসিভিং সেন্টার বা ডিসি আরসিতে প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে রবিবার মৃত্যু হল এক স্কুল শিক্ষিকার। আসানসোল ডি সি আর সি তে ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই মহিলা ভোট কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম অসীমা মুখার্জি। জানা গিয়েছে, এদিন আসানসোল ইঞ্জিনিয়ার কলেজের ডি সি আর সি কেন্দ্রে হঠাৎই ওই মহিলা ভোটকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ দীর্ঘক্ষন ওই অবস্থাতেই সেখানে পড়ে থাকেন ওই শিক্ষিকা পরে তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।\
এদিন পশ্চিম বর্ধমান এ ডিসি আরসি ভোটকেন্দ্রগুলোতে ন্যূনতম করোনা বিধি মানার সুযোগ না থাকায় প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোট কর্মীরা। গাদাগাদি করে এক জায়গায় সকলে মিলে সরঞ্জাম নিতে গিয়ে করোনা সংক্রমনের আশংকা তৈরি হচ্ছে। বেশ কয়েকজন ভোট কর্মী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
শিক্ষক শিক্ষা কর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের তরফ এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্ট এবং শিক্ষকদের তরফে বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন করোনা বিধি পালনের ক্ষেত্রে নির্বিকার। ভোট কর্মীদের প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠুর আচরণ করছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্মম, নিষ্ঠুর আচরণ কোনভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। ডি সি আর সিতে বিন্দুমাত্র কোভিড বিধি মেনে চলার লক্ষণ নেই। চরম বিপদের মুখে ভোটকর্মী, নিরাপত্তা বাহিনী সহ সবাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আমরা মনে করি মানুষের জীবনের থেকে নির্বাচন বড় নয়। এইরকম একটা অতিমারির ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে নির্বাচন কমিশন। যার ফলে বহু ভোট কর্মীর জীবন বিপন্ন হচ্ছে। আগামী দিনে আরো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে! এই অবস্থায় আজ আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভোট কর্মী শিক্ষিকা মৃত্যুর জন্য ভুল স্বীকার করে নির্বাচন কমিশনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং অকাল মৃত্যুর জন্য তার পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দিতে হবে।