২১ এর ধর্মযুদ্ধ

উত্তেজনা তুঙ্গে রেখেও বড় অশান্তি ছাড়া শেষ দ্বিতীয় দফা

By admin

April 01, 2021

অয়ন ঘোষ, কলকাতা ব্যুরো:

বুধবার রাত থেকে ১৪৪ ধারা এবং চরম নিরাপত্তা মোতায়ন করা সত্ত্বেও দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন অর্থাৎ ১ এপ্রিল খুচরো অশান্তি এবং কাদা ছোড়াছুড়িকে সেই অর্থে আটকাতে পারলো না কেন্দ্রীয় বাহিনী। গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে শুরু হয়ে গিয়েছিল। নানান ধরনের অশান্তি, দাঙ্গা, বোমাবাজি আরো কত কি।

এদিন সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের বুথে ভোটারের লাইন পড়েছে যথেষ্ট। আর সেই সঙ্গে সঙ্গে দুই দলের মধ্যে লড়াইও বেড়ে চলেছে ক্রমশ। সেই লড়াইয়ে শিকার হতে হয়েছে বহু মানুষকে এমনকি সংবাদমাধ্যমও বাদ যায়নি।নন্দীগ্রামে যখন বুথ পরিদর্শনে পৌঁছেছিলেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সেই সময় তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলা হয়। অন্যদিকে কেশপুরে যখন বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি গিয়ে পৌঁছয় স্থানীয় কিছু লোকজন সেই গাড়ি আটক করে এবং ভাঙচুর শুরু করে। শুধু তাই নয় সেই জায়গায় উপস্থিত থাকা সংবাদ মাধ্যমগুলিকেও হুমকি দেওয়া হয়, ক্যামেরা বন্ধ করার এবং সংবাদ প্রতিনিধিদেরকে যথেষ্ট ভাবে হেনস্থা করা হয়। করা হয় গাড়ি ভাংচুর। যদিও কিছুসময়ের মধ্যেই পুলিশ সেই স্থানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতিকে সামাল দেয়ার চেষ্টা করে এবং সেই বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে তিনি নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নন। বরং তিনি চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে। ভোট নিয়ে ‘চিটিংবাজি’ হচ্ছে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি। ছাপ্পাভোটের অভিযোগ ঘিরে সকাল থেকেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি নন্দীগ্রামের বয়ালে। সেই ধুন্ধুমারের মধ্যে বয়ালে গিয়ে ধর্না দিতে গিয়ে বিজেপির বিক্ষোভে আটকে যান মমতা। প্রায় দু’ঘণ্টা পর নন্দীগ্রামের বয়ালের বুথ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৌশলে বের করে নিরাপদে নিয়ে যায় পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ এবং কমিশনের আধিকারিকরা কড়া নিরাপত্তায় তাঁকে ওই বুথ থেকে বার করে আনেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই বুথে জন শুভেন্দু। কেন মমতা এতক্ষণ অখানেবসে ছিলেন,টা নিয়ে বিধি ভাঙার অভিযোগ তোলেন তিনি।