এক নজরে

#SpecialReport : দ্যা গ্লোরি অফ আফগানিস্তান

By admin

April 04, 2022

আজ আলোচনা আর বোঝার চেষ্টা করবো এক সময়ে নারী উন্নতিতে এগিয়ে থাকা বর্তমান আফগানিস্তানের পরিস্থিতি । ভারতের প্রতিবেশি রাষ্ট্র পাঠন , তুর্কোমান, হাজার প্রভৃতি উপজাতি অধ্যুষিত আফগানিস্তান ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাধীনে ছিল দুর্বল । প্রাকৃতিক সম্পদে আধার আফগানিস্তান দীর্ঘসময় ধরে ছিল মধ্যযুগীয় রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শাসিত ।১৯৭৩ সালে এক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে।

আফগানিস্তানে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় এক এক প্রজাতান্ত্রিক সরকার ।পূর্ববতী শাসক জাহির শাহেদ আত্মীয় দাউদ খান আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি হন । আফগানিস্তানে কখনো রাশিয়া কখনো মার্কিন শক্তির চোখরাগানি চলেছে কখনো সেখানে তালিবান শাসন চলেছে যেমন এখন ।১৯৬৫ সালে আফগানিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয় কমিউনিস্ট দল PEOPLE’S DEMOCRATIC PARTY বা PDP এই দলের মদতপুষ্ঠ হয়ে দাউদ খান আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন ,তখন থেকেই আফগানিস্তানে সোভিয়েত প্রভাব থেকেছে কখনো কম কখনো বেশি ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে গোটা বিশ্ব জুড়ে যে ঠান্ডা লড়াই আবহ থেকেছে তাতে জড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের উন্নতশীল দেশ গুলো । দ্বি-মেরু বিশ্ব-রাজনীতি আবর্তিত হয়েছে সোভিয়েত এবং মার্কিন শক্তির অঙুলি হেলনে। আফগানিস্তানের সমাজবাদী বিপ্লবকে মদত দিতে গিয়ে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিল রাশিয়া (১৯৭৯-৮৪)। এই সমাজবাদী আন্দোলন কে ঠেকাতে গিয়ে আমেরিকা সন্ত্রাসবাদকে মদত দিতে শুধু করে । মস্কোপন্থী সমাজতান্ত্রিক দলের ক্ষমতা আফগান নিশ্চিত করবার জন্য সোভিয়েত সরকার সেখানে সেনা মোতায়েন করে অন্যদিকে আফগানিস্তানের মৌলবাদী গোষ্ঠী গুলো এই সমাজবাদী আন্দোলনকে দমন করতে মুজাহিদিন বা ধর্মযোদ্ধাদের তৈরি করে ;এই ধরনের গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তান এবং আমেরিকার কাছ থেকে মদতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে থাকে । আত্মপ্রকাশ করে তালিবান নামে এক দূর্ধষ মৌলবাদী গোষ্ঠী যা আফগানিস্তানে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে।

তালিবান এবং আল-কাঈদা গোষ্ঠী দুটি মিলিত ভাবে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের শাসন চালাতে থাকে । আল-কাঈাদার সর্বময় নেতা ওসামা বিন লাদেন আফগানিস্তানের হর্তাকর্তা বিধাতা হয়ে ওঠে ;এই বিধাতা হয়ে ওঠায় যে রাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল সে আর কেউ না আমেরিকা। তাই সন্ত্রাসবাদ গড়ে ওঠে বড় কোন রাষ্ট্রের ছত্রছায়াতেই। কিন্তু তার ফল ভোগ করতে হয় সাধারন মানুষকে । যাইহোক, আফগানিস্তান কে কেন্দ্র করে ভিয়েতনামের পর আবার নুতন করে বিশ্বজুড়ে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের উত্তাপ বাড়তে থাকে অবশেষে ১৯৯৮ সাল নাগাদ রণক্লান্ত সোভিয়েত সেনা আফগানিস্তান অপসারিত হয়। তালিবান শাসনে বিভিন্ন পর্যায় জুড়ে আফগানিস্তান মৌলবাদীদের পীঠস্থান হয়ে ওঠে ।