আসামে ৪৭ সিটে ৩৭৫ কোম্পানি জওয়ান
কলকাতা ব্যুরো: রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনে ৭৩২ কোম্পানি আধাসেনা ও প্রায় ১২ হাজার রাজ্য পুলিশকে পথে নামাল নির্বাচন কমিশন। পাঁচটি জেলার তিরিশটি বিধানসভার নির্বাচনে যে পরিমাণ বাহিনী কাজে লাগানো হচ্ছে, তাতে স্পষ্ট বাংলার নির্বাচনে কোনরকম নিরাপত্তা ফাঁক রাখতে চায় না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যদিও এই পাঁচ জেলার মধ্যে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝারগ্রাম, এর মত একদা মাওবাদী প্রভাবিত জঙ্গল মহল রয়েছে। আবার শনিবারই অসমে ১২ টি জেলার ৪৭ টি বিধানসভার ভোট দিয়ে শুরু হচ্ছে সেখানকার নির্বাচনের প্রথম পর্যায়। কিন্তু সেখানে প্রথম পর্যায় নির্বাচনে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ৩৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৩০০ কোম্পানি মাঠে নেমে কাজ করবে। বাকি ৭৫ কোম্পানি স্ট্যান্ড বাই হিসেবে থাকবে।নিরাপত্তার কড়াকড়ির সঙ্গেই বঙ্গে স্বচ্ছতা বজায় রাখার যুক্তিতে রাজ্য পুলিশকে কোন বুথে ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। একমাত্র বুথে ভোটারের লাইন ঠিক করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সাহায্য করা ছাড়া আর বুথের দিকে ঢোকা বারণ রাজ্য পুলিশের।
রাজ্যে প্রথম পর্যায়ের ভোটে নজরকাড়া কেন্দ্রের থেকেও নজর থাকবে তৃণমূল এবং বিজেপির শক্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরে। কারণ শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করার পর, অধিকারী পরিবারের থেকে দল হিসেবে তৃণমূলের নামে ওই জেলায় কতটা ভোট কাটে, তা প্রমান করা এখন তৃণমূলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শনিবার কাথি – উত্তর ভাজাচাউলি, পটাশপুর, খেজুরি বিধানসভার নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর ক্যারিশমা, নাকি তৃণমূলে মানুষের আস্থা তার পরীক্ষা হবে। অন্যদিকে বাঁকুড়ার শালতোড়া, রাইপুর, ছাতনায় কতটা তৃণমূলের ভিত শক্ত আছে, তার প্রমাণ হবে। পুরুলিয়ার নটি বিধানসভা ক্ষেত্র, কমবেশি গত লোকসভা নির্বাচন থেকে বিজেপির গেরুয়া রঙে রেঙ্গে উঠেছে। ফলে এবার মমতা ব্যানার্জির চ্যালেঞ্জ, সেই গেরুয়া ঝড় সরিয়ে তৃণমূলের অস্তিত্ব সেখানে কায়েম করা।প্রথম দফায় যে ৩০ টি বিধানসভার নির্বাচন হচ্ছে গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তার মধ্যে ২৭ টি দখল করেছিল তৃণমূল। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে সেখানে প্রবলভাবেই পিছিয়ে পড়তে হয় তৃণমূলকে। বিজেপি ব্যাপকভাবে জঙ্গলমহল এবং সংলগ্ন এলাকায় নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছিল।
এই অবস্থায় ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের ফল পুনরায় যাতে না ফেরে সেই পথ প্রশস্ত করার লড়াই শনিবার শুরু মমতা ব্যানার্জির। অন্যদিকে গত লোকসভার ৪২ টির মধ্যে ১৮ টি সাংসদ পদ দখল করে রাজ্যে যে জয়রথ চালিয়েছিল বিজেপি, এই বিধানসভায় তার আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোদী – শাহদের।