অদ্ভুতুড়ে

যে রহস্যের কূলকিনারা মেলেনি

By admin

June 23, 2023

পৃথিবীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যার সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।এমনই এক ব্যাখ্যাতীত ঘটনা ঘটেছিল কানাডার  একটি গ্রামে। যে ঘটনাটির কথা  শুনলে মনে হবে যেন সিনেমা কিংবা সাইন্স ফিকশনের কোনো কাহিনী অথবা অসাধারণ একটি রোমাঞ্চকর উপন্যাস। উত্তর পশ্চিম কানাডার আজকূনি হ্রদের পাশের পাহাড়ী অঞ্চলের এই গ্রামটির কথা ১৯৩০ সালের আগ পর্যন্ত কেউই প্রায় জানতো না। ১৯৩০ সালে গ্রামশুদ্ধ অন্তর্ধানের এই অদ্ভুত ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেতেই  গ্রামটি গোটা বিশ্বের নজরে চলে আসে।  তার আগে শুধুমাত্র গ্রামবাসী ও ব্যবসার কাজে যারা আসতেন, তারাই জানতেন গ্রামটি সম্পর্কে।

ঘটনার আকস্মিকতায় খেই হারিয়ে ফেলেন জো লবেল। দ্য রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশকে খবর দেন তক্ষুণি। মেজর থিওডোর লিস্টোর্টের নেতৃত্বে গোটা গ্রাম ও আশপাশের এলাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ। কিন্তু এবারও দেখা মিলল না একজন গ্রামবাসীরও। কবরস্থানে গিয়েও যথারীতি হতবাক হয়ে যান পুলিশকর্তারা। কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে, সবকটা কবর খুঁড়ে তুলে নিয়ে গেছে পচাগলা পুরোনো লাশ আর কঙ্কাল। দীর্ঘক্ষণ কবরস্থানের ভেতরে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো লাশের দেহাবশেষ বা কঙ্কালের খোঁজ পেল না পুলিশ। শুধুমাত্র অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেল ওই গ্রামের সবচেয়ে প্রাচীন গোত্রপ্রধানের কবরটি। তাহলে কি সুপ্রাচীন এই কবরের মধ্যেই লুকিয়ে আছে অজানা কোনও রহস্য?    দু’হাজার গ্রামবাসীর আচমকা উধাও হয়ে যাওয়া, তার সঙ্গে  কবরের লাশগুলি হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়া এবং শুধু একটি কবর অক্ষত থাকা এর কোনো হিসেবে মিলাতে পারেনি পুলিশ। জানা যায়নি, কি হয়েছিল সেই আদিবাসীদের সঙ্গে।

সেদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সময় নানা প্রশ্ন উঠলেও একটিরও উত্তর মেলেনি আজ পর্যন্ত। দীর্ঘদিন তদন্ত চালিয়ে শেষে হাল ছেড়ে দেয় পুলিশও। হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়া সেই গ্রামের ২ হাজার গ্রামবাসীর কাউকেই আর দেখা যায়নি কখনও। কী হয়েছিল তাদের? কবরে শায়িত লাশগুলোই বা গায়েব হল কীভাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর আজও অজানা। সেই গ্রাম আজ সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে ‘ভিলেজ অব ডেড’ নামে পরিচিত।