মৈনাক শর্মাসাইবার আক্রমণের শিকার ভারত। সাইবার হানায় এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। আর তা আবারও প্রমাণ হলো গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাই এ হঠাৎ হওয়া বিদ্যুত বিচ্ছিন্নতার মধ্যে। সম্প্রতি এমনই দাবি করে মার্কিন সাইবার সুরক্ষা সংস্থা রেকর্ডেড ফিউচার। ওই সংস্থা মতে ১২ অক্টোবর হওয়া মুম্বাইতে হঠাৎ বিদ্যুত চলে যাওয়ার প্রধান কারণ ছিল, চিনের তফরে সাইবার আক্রমণ।
কম্পিউটারের সাইবার জগতে কোনো অন্য কম্পিউটার সিস্টেমকে হ্যাক করতে ম্যালওয়্যার সফটওয়্যর প্রয়োজন হয়। মার্কিন সংস্থা রেকর্ডেড ফিউচারের মতে, গলওয়ানে চলতে থাকা সীমানা বিবদের মধ্যে দিল্লিকে আরো চাপে ফেলতে নেক্সাস নামক চিনা হ্যাকিং সংস্থা, প্লাগ এক্স নামক ম্যালওয়্যার পাঠায় মুম্বাইয়ের পাওয়ার হাউস সংস্থায়। যার ফলেই তৈরি হয় মুম্বাইতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। শুধু তাই নয়, এর আগেও ওই চিনা সংস্থার সাইবার আক্রমণের শিকার হয় বহু ভারতীয় সরকারী সংস্থা। তবে ওই মার্কিন সংস্থা এমন অ্যাটাকের খবরও দেয় ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সী রেসপন্স টিমকে।
মার্কিন সংস্থার এই দাবির পর আবারও প্রশ্নের মুখে ভারতের ইন্টারনেট সুরক্ষা বিশেষ করে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিজ্ঞাপন কতটা সুরক্ষিত, তা প্রশ্নের মুখে। কারণ এর আগেও দিল্লির তৈরি করোনার কন্টাক ট্রেসিং আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটিও হ্যাক করে আমেরিকার এলট আল্ডারসন নামক ব্যাক্তি। প্রধনমন্ত্রীর দপ্তরের ৫ কর্মী ও ২ জন সেনা আধিকারিকের লোকেশন ট্র্যাক করতে সক্ষম হয় আল্ডারসন। যা তিনি টুইট করে জানান ভারত সরকারকে। এই খবর সামনে আসার পরই, সেনার তরফে নিজের কর্মীদের ওই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের নিষেধও করা হয়।আবার মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে আঁধারের তথ্য ফাঁসের অভিযোগও ওঠে আঁধার সংস্থা ইউ আই ডি এ আই এর তথ্য সংগ্রহে লিস প্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে। সে ক্ষেত্রে সাইবার যুদ্ধে দিল্লির প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।