কলকাতা ব্যুরো: বারাবনিতে বিজেপির জনসভাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গৌরান্ডির হাটতলা অঞ্চল। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েক জন। ভাঙচুর করা হয় বোলেরো গাড়ি, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মোটর সাইকেলে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মোতায়ন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। টহল দেয় কেন্দ্র বাহিনী। চব্বিশ ঘণ্টা আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের গঠন যাবতীয় সভা মিছিল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরেও কি করে এত মানুষকে নিয়ে বিজেপি নেতারা জনসভা করলেন সেই প্রশ্নও উঠেছে। বহু লোকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। মানা হয়নি ন্যূনতম করোনা বিধিও।
এদিন গৌরান্ডী হাটতলায় ছিল শুভেন্দু –বাবুলের সভা। বিজেপির অভিযোগ, জনসভায় যোগদান করতে কর্মী সমর্থকরা যখন যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতীরা মিলে বিজেপির কর্মীদের উপর চড়াও হয় এবং তাদের মারধর করা হয়। ভাঙ্গচুর করা হয় তাদের গাড়ি। বিজেপি প্রার্থী অরিজিৎ রায়ের বক্তব্য, গৌরান্ডি এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর ও বাবুল সুপ্রিয়ের একটি জনসভা হয়েছিল। ঠিক সেই সময় তৃণমূলের দুস্কৃতি বাহিনী জনসভায় আগত বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়। বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস হলো গুন্ডা বাহিনীর দল।সন্ত্রাস করা তাদের কাজ আর তারা তাই করে যাচ্ছে, ২ মে এর জবাব দেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে আহত ইন্দ্রজিৎ রাউথ বলেন, আমি নিজে সিভিক ভলেন্টিয়ার। আজ আমি বাইকে তেল নিতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে পিছন থেকে কিছু বিজেপি কর্মীরা এসে আমাকে বাঁশ দিয়ে করে মাথায় খুব জোরে আঘাত করে এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অসিত সিংহ বলেন, এই সমস্ত ঘটনা মিথ্যা ছাড়া কিছু নয়। তারা জোর করে বিনা অনুমতিতে মানুষের বাড়িতে ঝান্ডা লাগাছিলো। মানুষ বাঁধা দিলে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। আহত হয় আমাদের কর্মী। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতে। বারাবনিকে অশান্ত করে বিজেপি এই অঞ্চলে জনপ্রিয়তা অর্জনের করার এসব নাটক করছে। এখানে বিজেপির কোন অস্তিত্ব নেই। তাই নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য বিজেপির এই চক্রান্ত।