এক নজরে

কুচো নিমকি আর জিভে গজায় বিজয়ার মিষ্টিমুখ এবং…

By admin

October 27, 2020

কলকাতা ব্যুরো: খুব বেশি সময় আগের কথা নয়। চার দশক আগেও বিজয়ার মিষ্টিমুখের চলটা ছিল অন্যরকম। তখনও পাড়ায় পাড়ায় রেস্তোরাঁ কিংবা পানশালা গজিয়ে ওঠেনি। এমনকি ভালো মিষ্টির দোকান কিংবা রোল, চাউমিনের স্নাক্স বারও তৈরি হয়নি। অথচ বিজয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রণাম সাড়ার চল ছিল। আর বিজয়া মানেই মিষ্টিমুখ। তা সামাল দিতে দশমীর পর থেকে শুরু হয়ে যেত নারকেল কোরানো। তা থেকে বাড়িতেই তৈরি হতো নাড়ু, তকথি। কালো জিরে আর বেকিং পাউডার দিয়ে মাখা ময়দা দিয়ে তৈরি হতো কাটা/কুচো নিমকি। বাড়িতেই তৈরি হতো জিভে গজা, মালপোয়া। প্রায় প্রতি বাড়িতেই প্রচলন ছিল এসব বানানোর।

এটা সেই সময়কার কথা যখন বাড়ি বাড়িতে ফ্রিজের চল ছিল না। তাই এমন মিষ্টি বা নোনতা খাবার বাড়িতেই বানানো হতো, তা বাড়িতে অনায়াসেই বেশ কিছুদিন রাখা যেত। তেমন প্রচলন হয়নি টেলিফোনেরও। তবুও আগে থেকে জানা থাকলে অনেক বাড়িতেই সে সব মিষ্টির সঙ্গেই তৈরি হতো ঘুগনি কিংবা আলুর দম বা ছোলার ডাল আর লুচি।

বছর কয়েক পর থেকে শুরু হয় বিজয়ার খাওয়া দেওয়ারও বিবর্তন। নামি দোকানের দামি মিষ্টি, ফিশ ফ্রাই, কাটলেট, কবিরাজি। কালে কালে এলো আরো অনেক পরিবর্তন। রোস্ট, পিজা, কাবাব, বার্গার। এবার অবশ্য অনেকেই বিজয়া সারছেন ফোমে কিংবা হোয়াটসআপে। মিষ্টিমুখের প্রাপ্তিযোগও ভার্চুয়াল মিডিয়াতেই।