কলকাতা ব্যুরো: কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের রাজনৈতিক তরজা এবার আদালতের দোরগোড়ায় পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকা সৌমেন্দু অধিকারীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে এবার হাইকোর্টে মামলা করলেন তিনি প্রসঙ্গত সৌমেন্দু শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই বৃহস্পতিবার তার আইনজীবী ভট্টাচার্য্য আদালতে জানান বেআইনিভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নগর উন্নয়ন দপ্তর তাহার মক্কেলকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেছে তাই এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি মামলা করতে চান বিচারপতি সিনহা মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন আগামী 4 জানুয়ারি মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা যদিও সেই একই বিজ্ঞপ্তির প্রসঙ্গ টেনে আদালত একটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছিল এ দিন জনস্বার্থ হিসেবে দায়ের হওয়া মামলাটি ওঠে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এর ডিভিশন বেঞ্চে।
মামলাকারি সিপিএম সমর্থক শেখ মসুরুদ্দিন। তার প্রশ্ন, কাঁথি পুরসভায় কেন নতুন করে নোটিফিকেশন করে এখন চেয়ারম্যান অপসারণ করা হল। এটা বেয়াইনি বলে তার অভিযোগ। কারন রাজ্য জানিয়েছে, কোভিড আবহে ভোটার লিস্ট না বেড়নো পর্যন্ত কোন ভোট হবে না। তাহলে পুরসভায় শুধু নোটিফিকেশন করে বদল কেন?এভাবে প্রশাসক বদলের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলাকারী আদালতের দারস্থ হন। মূল বক্তব্য, এভাবে শুধুমাত্র সই করে মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম যে নোটিফিকেশন দিয়েছেন, সেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা থাকছেন। আইএএস বা অন্য অফিসাররা নন। মামলাকারীর আইনজীবী কল্লোল বসু। মামলাকারী নিজেকে একজন সিপিএম কর্মী বলে উল্লেখ করেছেন।
সরকারি আইনজীবী বলেন, এখোনো কোনো গেজেট নোটিফিকেশন বের হয়নি। শুধুমাত্র একটি কাগজ স্যোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে। সোশ্যাল মিডিয়া তে কি বেরলো তার উপর কিভাবে মামলা হতে পারে.? আইন অনুযায়ী এই বিভাগের মন্ত্রী নিতে পারেন সিদ্ধান্ত। মামলাকারী রাজনৈতিক ব্যক্তি হলে জনস্বার্থ কিভাবে? বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা খারিজ করে। কারন কোন অনুমানের উপর নির্ভর করে মামলা হয় না। এখনো গেজেট নোটিফিকেশন হয়নি। তাই এটা প্রিম্যাচ্যুর ডিপার্টমেন্টাল কথোপকথন। এই ধরণের নির্দেশ দেখে কোনো জনস্বার্থ মামলা হতে পারে না। কোনো অন্তর্বতী নির্দেশ নয়। মামলা খারিজ। তবে অন্য বেঞ্চে যাবার স্বাধীনতা রইল।