কলকাতা ব্যুরো: বিশ্বভারতী নিয়ে চূড়ান্ত নির্লজ্জতার সাক্ষী হচ্ছে দেশ। রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে পাঁচিল ঘেরা নিয়ে রাজনীতির খেউর শেষ। এবার টক্কর দেওয়ার খেলা।
সোমবার পাঁচিল ঘেরার বিরোধিতায় ভাঙচুর-গোলমাল এখন অতীত। বুধবার কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ভাঙচুর নিয়ে তদন্তের প্রাথমিক কাজ শুরু করলো। দুপুরে বীরভূমের জেলাশাসকের সব পক্ষকে নিয়ে ডাকা বৈঠক বয়কট করলো। আর অসহযোগিতার সর্বশেষ উদাহরণ উপাচার্যের বাড়ি থেকে নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার অভিযোগ।
পাঁচিল দেওয়ার বিরোধিতা করেও আবাসিকরা বলছেন, একেবারে পাড়ার দখলদারি নিয়ে যেন এলাকার দুই দাদার লড়াই।
বিশ্বভারতীর আজ ডেভেলপমেন্ট বলতে, বোলপুরে মহকুমা শাসকের দপ্তরে বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা বসু গোদারার ডাকা বৈঠক, যে বৈঠকে বিশ্বভারতীর পক্ষে কেউ উপস্থিত হননি। পাঁচিল ভাঙার খবর জানার পর গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিয়ে বিরোধ মেটাতে এই বৈঠক ডাকতে দায়িত্ব দিয়েছিলেন জেলাশাসককে। বিশ্বভারতীর সুবিধার জন্যই সিউড়ির বদলে বোলপুরে বৈঠকের আয়োজন হয়। বৈঠকে না গেলেও এর কারণ জানাননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
আবার বিশ্বভারতী চত্বরে উপাচার্য সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ১২ ঘণ্টার অনশনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন, তা বাতিল করা হয়। এই বাতিলের কারণও জানানো হয়নি। তবে বিশ্বভারতীর অভিযোগ, উপাচার্যের নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে নিয়েছে পুলিশ।
তাঁর বাসভবনে পুলিশ পাহারাও তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও বীরভূম পুলিশের বক্তব্য, প্রত্যাহার নয়, নিরাপত্তারক্ষী বদল করা হয়েছে। বোলপুরের বৈঠকে প্রশাসন, পুলিশ ছাড়াও সাংসদ, ব্যবসায়ী সমিতি, স্থানীয় বাসিন্দা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও আশ্রমিকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, বৈঠকে সবাই নানা রকম মত দিয়েছেন। পুরো বক্তব্যগুলো নবান্নে পাঠানো হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে প্রতিনিধি পাঠায়নি, তাও জানানো হবে।
জানা গিয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত সবাই পৌষমেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরার বিরোধিতা করেন। এই পাঁচিল গাঁথার প্রতিবাদে আজ প্রাক্তনীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে বিশ্বভারতী চত্বরে গান করেন। তাঁদের অভিযোগ, খ্যাতনামা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শান্তিদেব ঘোষের বাড়ির সামনেও পাঁচিল তুলে দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।