কলকাতা ব্যুরো: ছোট থেকেই সে কিছু বুঝতে পারতো না। সকলেই তাকে ক্ষ্যাপাতো তার দুর্বলতা দেখে। সবাই বলতো বড় হয়ে, কি যে করবে! সেই করে দেখানোর জেদ থেকেই পরপর অন্তত দশটি খুন করেছে মহম্মদ রাজি।২২ বছর বয়সী বিহারের এই সিরিয়াল কিলারকে অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করেছে গুরেগাঁও থেকে. মহম্মদ রাজির হাতে শেষ তিনটি খুন হয়েছে গত ২৩, ২৪ ও ২৫ নভেম্বর। আর তার জেরেই প্রায় আড়াইশো থেকে ৩০০ সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ অবশেষে হদিস পায় মানসিক ভারসাম্যহীন এই সিরিয়াল কিলারের। বিহার, দিল্লি, গুরগাঁও সহ আশপাশের এলাকায় অন্তত দশটি এমন খুন রাজি করেছে বলে নিশ্চিত পুলিশ। বাকি গুলোর ব্যাপারে এখন তাকে নানান ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ নিশ্চিত, অন্যান্য অপরাধীদের মত এই অভিযুক্ত কেও সোজাসুজি জেরা করার বদলে, মানসিক চিকিৎসা করার পরেই তার থেকে সব তথ্য বের করা সম্ভব।পুলিশের একটানা জেরায় রাজির বক্তব্য, ছোট থেকেই সাধারণ অনেকে অনেক কথা বললেও, তা চট করে ধরতে পারতাম না। তা নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করত। আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় ছিল সবাই। তাই সারা পৃথিবীকে আমি দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম, আমি কি করতে পারি। ধৃতকে আরো জেরা করে এখন তার আরো খুনের হদিশ পেতে চাইছে পুলিশ।সম্প্রতি ২৩ জুন গুরগাও লিসিউম ভ্যালি পার্ক এলাকায় এক ব্যক্তিকে খুন করে রাজি। পরের দিনই গুরগাঁও এ এক নিরাপত্তারক্ষীকে ছুরি মেরে খুন করে। তারপর দিন রাকেশ কুমার নামে ২৬ বছরের এক যুবক এই সিরিয়াল কিলারের হাতে খুন হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে তেমন কোনো তথ্য প্রমাণ পায়নি। শেষ পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো থেকে ৩০০ সিসি টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর অবশেষে নাগালে পায়ে রাজিকে।