২১ এর ধর্মযুদ্ধ

বিজেপির নয়া ইস্যু প্রচারে প্রশ্ন

By admin

April 04, 2021

কলকাতা ব্যুরো: মাথার ওপর সূর্যের তাপ গনগন করছে, ৪০ এর কোঠায় উঠে গিয়েছে পারদ। একইসঙ্গে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমশ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দেশে। করোনা বাড়তে বাড়তে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৯ হাজার পার করেছে। রাজ্যেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। তারই সঙ্গে রাজ্যে বাড়ছে ভোটের পারদ। প্রথম দু দফায় রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে প্রচারে উত্তাপ বেড়েছিল। আর তৃতীয় দফার নির্বাচনের আগেই বিজেপি কয়লা ও গরু কেলেঙ্কারি নিয়ে এক অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এনে এক ধাক্কায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে তাপ আরো বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। সেইসঙ্গেই তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় ‘গাদ্দার’ শুভেন্দু অধিকারী রবিবার তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে।এই পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূল তার সাংসদ এবং বর্ষিয়ান বিধায়ক তথা মন্ত্রীদের পাল্টা কাউন্টার করার জন্য নামিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট প্রচারে এই প্রসঙ্গ টেনে পুরোটাই রাজনৈতিক ফায়দার জন্য বিজেপির নোংরা খেলা বলে অভিযোগ তুলেছেন। ভোটের সময় বেছে বেছে তার দলের নেতাদের বাড়িতে এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে নেতাদের নাম করেই অভিযোগ তুলেছেন মমতা।

প্রশ্ন হচ্ছে, বিজেপির তৃণমূলকে বেঁধার চেষ্টায় রাজনৈতিক বা উন্নয়ন নিয়ে নেতিবাচক প্রচারের বদলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ বাস্তবে পরবর্তী দফার ভোট গুলিতে তাদের এক্সট্রা মাইলেজ দেবে কিনা, সে প্রশ্নও উঠছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আর্থিক দুর্নীতি যদি সত্যিই এ রাজ্যে মানুষের কাছে একটা বড় নেতিবাচক ঘটনা বলে মনে হতো, তাহলে ২০১৬ সালে ২০০ র উপরে আসন নিয়ে তৃণমূলের ক্ষমতায় ফেরা আর হত না। কারণ ওই নির্বাচনের আগেই নারদ স্টিং অপারেশনের ছবি বাজারে ছেড়েছিল বিজেপির বকলমে নারদা গোষ্ঠী। রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের হাতে হাতে টাকা নিতে দেখার পরেও মানুষ কিন্তু আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে খুব বেশি যে ভাবীতো নয়, তার প্রমান ভোটের ফল। ফলে এবার বিজেপির কয়লা এবং গরু থেকে টাকা নেওয়া নিয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে তথা তৃণমূলকে গাথার চেষ্টায় ভোট বাজারে নতুন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আবার বিজেপির নেতারা যেভাবে দু’দফায় ভোটের পরেই রাজ্যে ক্ষমতায় চলে আসার ব্যাপারে ঢাকঢোল পিটাচ্ছেন, তারপরেও কেন ব্যক্তিগত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে নতুন করে তাদের প্রচার চালাতে হচ্ছে তা নিয়েও সন্দেহ দানা বেঁধেছে। যদিও অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূলের ভাঙ্গনের একটা অন্যতম কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে ২০১৭ সালের পর থেকে প্রভূত ক্ষমতা দিয়ে দেওয়া। সেই অভিষেকের বিরুদ্ধে নতুন প্রচার হলে তা শুধু ভোটার নয়, তৃণমূলের নিচু তলার নেতাদের মধ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে বিজেপির think-tank। ভোট বাজারে তাই কোনো অস্ত্রই তারা ফেলে রাখতে নারা