এক নজরে

মণ্ডপে নো এন্ট্রির হাইকোর্টের নিদানে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ফাঁকা রাজপথ

By admin

October 22, 2020

কলকাতা ব্যুরো: বাংলায় দুর্গাপুজোর প্রথম দিনটা কাটলো হাইকোর্টের রায়ের ছায়াতেই। ষষ্ঠীতে কলাবউ স্নান করে শুরু হয়েছিল দুর্গাপূজা। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিল ষষ্ঠীর থেকেই শুরু হবে দুর্যোগ বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাসের আশঙ্কায। ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়েছিল প্রশাসনে।এদিন দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলেও বৃষ্টি সেভাবে হয়নি কোথাও। কিন্তু ষষ্ঠীর বিকেল থেকে রাত যত বেড়েছে ঠাকুর দেখার ভিড় যেভাবে অন্য বারে চোখে পড়ে, তার প্রায় ছিটেফোটাও দেখা যায়নি।চেতলা অগ্রণী, নিউ আলিপুর সুরুচি, বালিগঞ্জ কালচারাল থেকে কসবা বোসপুকুর, আবার কলেজ স্কোয়ার, হাতিবাগান- সর্বত্রই চোখে পড়েছে পাড়ার আশপাশের মানুষের আনাগোনা।

মণ্ডপের সামনে ভিড় শব্দটা দূরে থাক, লোকজন তেমন দেখা যায়নি কোথাও। কিছু মানুষ এসেছেন একেবারেই আটপৌরে ভাবে। কোন ও কাজের আছিলায় বেরিয়ে একবার ঠাকুর দেখে যাওয়ার মনোভাব দেখা দিয়েছে বহু মানুষের মধ্যে।আর ষষ্ঠীর সন্ধ্যা একেবারেই দর্শনার্থী শূন্য হওয়ার সঙ্গেই ঘুরে ফিরে এসেছে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ। যদিও রাস্তায় কিছু মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে কমবেশি। কিন্তু তা অতীতের কোনো ষষ্ঠীর দিনে ভিড়ের নামমাত্র নয়।পুজোর উদ্যোক্তারা হতাশ। কারণ এত বড় আয়োজন করার পর একেবারে শেষ মুহূর্তে হাইকোর্টের রায়ে তাদের এবারের সব পরিকল্পনা একরকম মাঠে মারা গিয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

সন্ধ্যা থেকেই প্রায় সব মন্ডপের ঘোষণায় ঘুরে ফিরে এসেছে হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ। তারা নিজেদের অসহায় বলে দাবি করে মাইক্রো ফোনে ঘোষণা করেছেন বারে বারে।যদিও ষষ্ঠীর সন্ধ্যা দেখে বহু চিকিৎসক এবং নাগরিকদের একটা বড় অংশই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। তাঁদের বক্তব্য, হাইকোর্ট এই রায় না দিলে, এ দিন থেকেই যে ভিড় হত ঠাকুর দেখার জন্য, তাতে করোনা সংক্রমনের পারদ চড়তো। এমনিতেই গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ সংক্রমণ ধরা পড়েছে রাজ্যে। একদিনে ৪০৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।এদিনের সন্ধ্যাটা হাইকোর্টের রায় নিয়েই আলোচনায় মেতে থাকলেও, সপ্তমীর দিন বৃষ্টি ও দূর্যোগ বাড়ার পূর্বাভাস আগেই দিয়ে রেখেছে হাওয়া অফিস। ফলে সপ্তমী থেকে হাইকোর্টের রায়ের সঙ্গেই বৃষ্টিতে এমনিতেই লোকজনের বেরোনোর অবস্থা থাকবে না বলে মনে করছেন অনেকেই।সে ক্ষেত্রে এবার দুর্গা পুজোতে হাইকোর্ট ও বৃষ্টির জোড়া ফলাতেই বাস্তবে দর্শকশূন্য হবে নগরের গলি থেকে রাজপথ। মায়ের মণ্ডপে তো আগেই নো এন্ট্রি জোন।