এক নজরে

#Jadavpur Pro VC: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের রহস্যমৃত্যু

By admin

July 20, 2022

কলকাতা ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য (Jadavpur Pro VC) স্যমন্তক দাসের রহস্যমৃত্যু। বুধবার দুপুরে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ক্যারাটের বেল্টের মাধ্যমে গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং থেকে দেহ ঝুলতে দেখা যায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তবে তিনি খুন হয়েছেন নাকি আত্মহত্যা করেছেন? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বুধবার তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ যাদবপুর ক্যাম্পাস।

রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, আমরা এই দুঃসংবাদ মেনে নিতে পারছি না। অধ্যাপক সামন্তক দাস আমাদের অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ। উনি ছাত্রছাত্রী ও কর্মীদেরও অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। তাঁর অকাল প্রয়াণে বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের নতুন দিন পরে জানাবে কর্তৃপক্ষ। 

জানা গিয়েছে, রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় রিজেন্ট পার্কের সরকারি আবাসনে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন সহ উপাচার্য (Jadavpur Pro Vc)। বুধবার সকাল থেকে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘরবন্ধ অবস্থায় ভিতরে ছিলেন। এরপর পরিচারিকা দরজা ধাক্কা দেন। কোনও সাড়া শব্দ পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে পুলিশকে খবর দেন তাঁর পরিবারের লোকজন। খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। দরজা ভেঙে ওই ঘরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা।

আর ঘরের ভিতরে ঢুকে কার্যত অবাক হয়ে যান সকলেই। তাঁরা দেখেন, ঘরের ভিতরে সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ক্যারাটের বেল্ট লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন সহ উপাচার্য (Jadavpur Pro Vc)। তাঁর দেহ উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে কিছুই বলতে পারছেন না তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে কোনও অজ্ঞাত কারণে পারিবারিক সমস্যা চলছিল। আর সে কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সহ উপাচার্য। তার জেরে জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ৫৬ বছর বয়সি স্যমন্তক দাস (Jadavpur Pro VC), কলকাতার লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ থেকে আইসিএসই ও আইএসসি পাশ করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে যাদবপুর থেকেই তিনি পিএইচডি করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অত্যন্ত সুমধুর সম্পর্ক ছিল তাঁর। আচমকা অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু মানতে পারছেন না তাঁর ছাত্রছাত্রীরা।