কলকাতা ব্যুরো : সবুজ সংকেত মিলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার। এবার দেশের ২৩ টি সরকারি সংস্থা বেসরকারি হাতে তুলে দেবার যে আলোচনা চলছিল তাতে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়তে চলেছে। এমনটাই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে গর্ব করে জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান।
আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের অংশ হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকার সব ক্ষেত্রেই বেসরকারি সংস্থাকে শেয়ার বিক্রি করে লাভবান হতে চায়। নির্মলা জানান, ২০২০ – ২১ অর্থবর্ষে সরকারের লক্ষ্য ২.১০ ট্রিলিয়ন টাকা লগ্নিকরণ। এর মধ্যে ১.২০ কোটি আসবে সরকারি সংস্থা থেকে। ৯০ ট্রিলিয়ন আসবে বেসরকারি সংস্থা থেকে। তার যুক্তি, সরকার ২০১৪ এ ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সাল থেকেই এই পদ্ধতিতে অর্থ আসার পথ সহজ হয়েছে। এই নীতি মেনে গত পাঁচ বছরে ২৭৯৬২২ কোটি টাকার বিলগ্নিকরণ হয় । তিনি আরো জানান ,কেন্দ্র সরকার আইআরসি, এইচপিসি, ডিসিআইএল ( DCIL) , এনপিসিসি ইত্যাদি সংস্থায় লগ্নি করে অনেক লাভবান হয়েছে।
এই লক্ষমাত্রা পূরণ করতে সরকার দেশের বহু লাভজনক সংস্থাকেও বেসরকারি হাতে তুলে দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যে সব সংস্থা বেসরকারি হতে যাচ্ছে সে গুলি হলো এয়ার ইন্ডিয়া ও তার পাঁচটি সহযোগী সংস্থা, হিন্দুস্থান নিউজ প্রিন্ট, ভারত আর্থ মুভার্স, পবন সিংহ, ফেরোস্কপ, সিমেন্ট করপোরেশন অফ ইন্ডিয়া, স্কুটার ইণ্ডিয়া লিমিটেড, ফ্লুরও কার্বন, অ্যালয় স্টিল দুর্গাপুর ইত্যাদি।
বিরোধী বিশেষত বাম দলগুলি এর তীব্র সমালোচনা করেছে। আত্মনির্ভর ভারতের যুক্তি দেখিয়ে অতিমারির সময় এই বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়া আসলে কর্পোরেট সংস্থার কাছে বিজেপি সরকারের আত্মসমর্পণ বলে ব্যাখ্যা বাম দলগুলির । তারা জানিয়েছেন, দেশের মানুষ যখন খাদ্য সংস্থানের অভাবে ভুগছে, কর্মসংস্থান নেই, শিক্ষার যখন চরম সংকট চলছে এবং চিকিৎসার অভাবে যখন মানুষ দেশজুড়ে মারা যাচ্ছে, তখন খাদ্য, অন্ন, বস্ত্র এর ব্যাবস্থা না করে শিল্পপতিদের মুনাফা বিস্তারে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।